সৌভিক মজুমদার, কলকাতা: ৩৬ হাজার চাকরি বাতিলের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানাল পর্ষদ। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে মামলা করার অনুমতি ডিভিশন বেঞ্চের। একক বেঞ্চের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে মামলা করার অনুমতি। কাল শুনানির আবেদন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের। বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের ডিভিশন বেঞ্চে অনুমতি চাইল পর্ষদ। চাকরি হারানো শিক্ষকরাও দ্বারস্থ হচ্ছে ডিভিশন বেঞ্চের। তাঁদের বক্তব্য না শুনে কীভাবে নির্দেশ? প্রশ্ন তুলে মামলা চাকরিহারাদের।


১২ তারিখ ৩৬ হাজার প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। তবে ২০১৬ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নিয়েছিলেন, এমন প্রশিক্ষণহীন বা পরে প্রশিক্ষণপ্রাপ্তদের জন্য় আগামী তিন মাসের মধ্য়ে নিয়োগ প্রক্রিয়া সংগঠিত করতেও নির্দেশ দেয় আদালত। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্য়ায় জানান, এই নিয়োগের ক্ষেত্রে বয়ঃসীমাও বাধা হবে না। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দিয়েছিলেন, আপাতত, এই ৩৬ হাজার জনের চাকরি ৪ মাস থাকবে। তাঁরা যে স্কুলে পড়াচ্ছিলেন সেখানেই পড়াতে পারবেন। তবে, এই চার মাস তাঁরা পার্শ্ব শিক্ষকের বেতন পাবেন। ৩৬ হাজারের মধ্য়ে ২০১৬-র নিয়োগের সময় যাঁরা প্রশিক্ষণহীন ছিলেন বা তারপর প্রশিক্ষণ নিয়েছেন তাঁদের জন্য় ৩ মাসের মধ্য়ে নিয়োগ প্রক্রিয়ার ব্য়বস্থা করবে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। এই নিয়োগ প্রক্রিয়া শুধু তাঁদের জন্য়, যাঁরা ২০১৬-র নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নিয়েছিলেন।


অ্য়াপ্টিটিউড টেস্টে অনিয়ম:
২০১৬-র প্রাথমিকে নিয়োগে, অ্য়াপ্টিটিউড টেস্ট নিয়ে ভুরি ভুরি অনিয়মের অভিযোগ উঠেছিল। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্য়ায়ের নির্দেশনামাতেও বিষয়টি উঠে এসেছে। নিয়মভঙ্গের অভিযোগের প্রেক্ষিতে ৩০ জন ইন্টারভিউয়ারকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিলেন বিচারপতি। নির্দেশনামায় তিনি উল্লেখ করেছেন, তাঁদের মধ্য়ে কেউ বলেছেন, অ্য়াপ্টিটিউড টেস্ট হয়নি, কেউ বলেছে, অ্য়াপ্টিটিউড টেস্ট কী, তাই জানেন না।


সংখ্যা নিয়ে বিভ্রাট!
৩৬ হাজার চাকরি বাতিলে সংখ্যা বিভ্রাট। বিভ্রান্তি কাটাতে সোমবার হাইকোর্টে যাচ্ছেন মামলাকারী। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বেঞ্চে যাচ্ছেন আইনজীবী তরুণজ্যোতি তিওয়ারি। ৩৬ হাজারের থেকে ৮ হাজার ৫৮৫ কমবে বাতিল চাকরির সংখ্যা।
মোট চাকরি বাতিল হবে ২৭ হাজার ৪১৫টি। টাইপোগ্রাফিক্যাল ত্রুটির কারণে বিভ্রান্তি হতে পারে, বলছেন মামলাকারী আইনজীবী।


আইনজীবী ও কংগ্রেস নেতা কৌস্তভ বাগচী বলেন, 'আমি যতদূর জানি ওই অর্ডারের কিছু বদল আসতে পারে। ওই সংখ্যাটা একটু কমবে হয়তো। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় তাঁর রায় শুনিয়েছেন। ডিভিশন বেঞ্চে তো কেউ যেতেই পারেন।'


আরও পড়ুন: গরমের মরসুমে রাতের ঘুমে সমস্যা? সমাধানে মেনে চলতে পারেন সহজ কয়েকটি নিয়ম