কলকাতা: মানিক ভট্টাচার্যের সঙ্গে সুজয়কৃষ্ণের আঁতাঁতের অভিযোগ ইডির। মানিকের ফোনের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট দেখিয়ে সুজয়কৃষ্ণকে প্রশ্ন ইডির। 'কাদের কাদের চাকরি? মানিককে বলে দিতেন কালীঘাটের কাকু'। ফোনে চ্যাট দেখিয়ে দাবি ইডির। অস্বীকার সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের । ৭০ লক্ষ টাকা সুজয়কৃষ্ণকে দিয়েছিল কুন্তল, এমনই দাবি ইডির । 'কুন্তলের বয়ানের কপি সামনে রেখে কালীঘাটের কাকুকে জেরা'। ২০২১-র আগে মানিকের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ ছিল না, দাবি সুজয়কৃষ্ণের।


মানিক ভট্টাচার্যের সঙ্গে সুজয়কৃষ্ণের আঁতাঁতের অভিযোগ: নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে আগেই গ্রেফতার হয়েছেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য। গতকাল ইডির জিজ্ঞাসাবাদের পর গ্রেফতার করা হয় সুজয় কৃষ্ণ ভদ্রকে। এবার সামনে এল মানিক ভট্টাচার্যর সঙ্গে সুজয়কৃষ্ণের আঁতাঁতের অভিযোগ। এমনই অভিযোগ করল ইডি। কাদের কাদের চাকরি দেওয়া হবে, সে বিষয়ে মানিককে বলে দিতেন কালীঘাটের কাকু। এমনটাই দাবি করেছে ইডি।                      


প্রায় ১২ ঘণ্টা ম্য়ারাথন জিজ্ঞাসাবাদের পর গতকাল অবশেষে 'কালীঘাটের কাকু'কে গ্রেফতার করে ED। নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে আরও এক হাইপ্রোফাইল গ্রেফতারি ঘিরে উত্তাল রাজ্য়। মঙ্গলবার, সকাল ১০.৫৯ নাগাদ ইডি দফতরে এসে পৌঁছন সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। সকাল সাড়ে ১১টা থেকে সুজয়কৃষ্ণকে প্রশ্ন করা শুরু করেন ইডির ৩ জন আধিকারিক। সকাল পেরিয়ে দুপুর, দুপুর বিকেলি, বিকেল থেকে রাত...লাগাতার চলতে থাকে জিজ্ঞাসাবাদ। ৩ দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় 'কালীঘাটের কাকু'কে। ইডি, সূত্রে খবর, তদন্তে সহযোগিতা করছিলেন না তিনি। অবশেষে রাতে গ্রেফতার করা সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে 'কালীঘাটের কাকু'কে। এর আগে, চার্জশিটে ইডির তরফে দাবি করা হয়েছিল, বহিষ্কৃত তৃণমূল নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের DIP ডেভলপার্সের ১ হাজার ২০০ স্কোয়ার ফুটের একটি কমার্শিয়াল স্পেস কেনার জন্য ২০২০ সালে অগ্রিম হিসেবে ৪০ লক্ষ টাকা দিয়েছিলেন সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। সুজয়কৃষ্ণের বাড়িতে তল্লাশির পর, ইডি সূত্রে দাবি করা হয়, আয়ের সঙ্গে তাঁর ব্যয়ের সামঞ্জস্য মেলেনি। অবশেষ বারবার জিজ্ঞাসাবাদ ও বাড়িতে তল্লাশির পর গ্রেফতার করা হয় কালীঘাটের কাকুকে।                                           


আরও পড়ুন: Causes of Sweating: গরম বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আমরা ঘামতে শুরু করি কেন, এর পেছনে বৈজ্ঞানিক কারণ কী ?