প্রকাশ সিন্হা, কলকাতা : রেশন বন্টনে দুর্নীতির (Ration Distribution Scam) অভিযোগ খতিয়ে দেখতে রাজ্যজুড়ে চষে বেড়াচ্ছে ইডি। চলছে ম্যারাথন তল্লাশি ও জিজ্ঞাসাবাদ। গ্রেফতার হয়েছেন প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক (Jyotipriyo Mullick)। একইসঙ্গে পুরসভায় নিয়োগ দুর্নীতির (Municipality Recruitment Scam) তদন্তেও উঠেপড়ে লেগেছে কেন্দ্রীয় এজেন্সি। আর এই আবহে আচমকা শিরোনামে চলে এল নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ধৃত বহিষ্কৃত যুব তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষের নাম। 


চলতি বছর ২১ জানুয়ারি, নিয়োগ দুর্নীতি মামলার (Recruitment Scam) তদন্তে অসহযোগিতার অভিযোগে রাজারহাটের এক অভিজাত আবাসনের ফ্ল্যাট থেকে ইডির (ED) হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন কুন্তল। তার প্রায় ১০ মাস পর, মঙ্গলবার সাতসকালে সেই ফ্ল্যাটে হানা দিলেন ইডির আধিকারিকরা। ইডি সূত্রে খবর, রাজারহাটের ওই ফ্ল্যাট হস্তান্তর হয়ে গিয়েছে জানতে পেরে সেখানে অভিযান চালানো হয়।


ইডি সূত্রে খবর, ৯ তলার ওই ফ্ল্যাট তালাবন্ধ ছিল। আবাসনের অফিসে গিয়ে কথা বলেন ইডির আধিকারিকরা। তাঁদের দাবি, কুন্তল ঘোষের (Kuntal Ghosh) গ্রেফতারির পর ওই ফ্ল্যাটটি অন্য কেউ কিনেছেন। পার্থ চট্টোপাধ্যায়, অর্পিতা মুখোপাধ্যায়, সুবীরেশ ভট্টাচার্য, কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়, মানিক ভট্টাচার্য, শান্তিপ্রসাদ সিন্হা, অশোক সাহা, দুই মিডলম্যানের পরে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় দশম গ্রেফতারি ছিল কুন্তল ঘোষ।


যাঁর বিরুদ্ধে সাড়ে ১৯ কোটি টাকা নেওয়ার অভিযোগ করেছিলেন তাপস মণ্ডল। পরে ইডি চার্জশিটে চাঞ্চল্যকর দাবি করে। নিয়োগ দুর্নীতিতে টাকা তোলায় কুন্তল ছিলেন একাই একশো। মানে তিনি একাই বাজার থেকে তুলেছিলেন একশো কোটি টাকা। সেই কুন্তল ঘোষকে যে ফ্ল্যাট থেকে গ্রেফতার করা হয়েছিল, মঙ্গলবার ফের সেখানে পৌঁছে গেল ইডি।


সূত্রের খবর, বহিষ্কৃত যুব তৃণমূল নেতা দাবি করেছিলেন তিনি ওই ফ্ল্যাটে ভাড়া থাকতেন। সেটাই কি সত্যি ? নাকি বেনামে ওই সম্পত্তি ছিল কুন্তল ঘোষেরই, যা এখন হস্তান্তর করে দেওয়া হয়েছে ? এর সঙ্গে কুন্তলের ঘনিষ্ঠ বা পরিবারের কেউ যুক্ত আছেন কি ? সূত্রের খবর, এসব বিষয় খতিয়ে দেখছে ইডি।                                                          


আরও পড়ুন- জ্যোতিপ্রিয়র সিএ-র নির্দেশে জমা পড়ত টাকা ! রেশনের কালো টাকা সাদা করতে বাঁকুড়ার ঠিকানায় জোড়া কোম্পানি