কলকাতা: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (Recruitment Scam) গোটা প্যানেল বাতিলের দায় নিতে নারাজ এসএসসি (SSC)। মূল্যায়ন বিতর্কে স্কুল সার্ভিস কমিশনের ব্যাখ্যা, আদালতে ৩ বার হলফনামা দিয়ে তালিকা দেওয়া হয়েছিল। আদালতে ৫,৩০০ জনের নামের তালিকা পেশ করা হয়েছে। এসএসসি-র তালিকায় যে সন্তুষ্ট ছিল না আদালত তা এদিন মানলেন চেয়ারম্যান।
কী প্রতিক্রিয়া বিরোধীদের? এবিষয়ে আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, "SSC- র চেয়ারম্যান স্পষ্ট উত্তর দেবেন কী করে! তখন হয়ত উনি চেয়ারম্যান ছিলেন না কিন্তু নিয়োগ প্রক্রিয়ার শুরু থেকেই তো দুর্নীতি। আদালতের নির্দেশ পড়লে SSC-র চেয়ারম্যান বুঝতে পারতেন। আদালতের নির্দেশ তো পড়েন না, মুখ্যমন্ত্রীর মুখের দিকে তাকিয়ে থাকেন এটাই সমস্যা।'' রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, "আদালতে হলফনামা দিয়ে কোন তালিকা দিয়েছিল? OMR শিট কোথায়? SSC যদি আদালতকে সন্তুষ্ট করতে না পারে সেটা তাদের বিষয়। SSC, রাজ্য সরকার দায় এড়াতে পারে না। শুধু তালিকার প্রশ্ন নয়, প্রশ্নটা হল তারা যে তালিকা প্রকাশ করেছে তার কোনও স্বচ্ছ্বতা নেই।আদালতের সব প্রশ্নের উত্তর দিতে পারেনি SSC।''
হাইকোর্টের রায়ে চাকরি হারিয়েছেন প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক। বারবার প্রশ্ন উঠেছে, এই মারাত্মক পরিণতির দায় কার? দোষী কে? চাকরিহারাদেরই একাংশই প্রশ্ন তুলছেন, কেন 'অযোগ্য়'দের তালিকা আগেই আদালতে পেশ করেনি SSC? SSC-র তরফে দাবি করা হয়েছে, তাঁদের দেওয়া তালিকা অনুযায়ী, বিতর্কিত চাকরিপ্রার্থীদের সংখ্য়া ৫ হাজার ২৫০। গ্রুপ C-এর ক্ষেত্রে হবে ১১৩৩গ্রুপ D-এর ক্ষেত্রে ২ হাজার ৩১৩একাদশ-দ্বাদশে ৮১১ জন এবং নবম-দশমে ৯৯৩ জন। ssc-র চেয়ারম্যানের ব্যাখ্যা, “OMR শিট নেই এটা তো সবাই জানে। আমাদের স্ক্য়ান কপিও ছিল না। CBI বা তদন্তকারী সংস্থা যেটা উদ্ধার করেছে, সেটা তারা মহামান্য় আদালতে পেশ করে। সেটা ২০২২ সালে পেশ করে। সেখান থেকে মহামান্য় আদালতের নির্দেশে, সেই হার্ডডিস্কগুলির কপি আমাদের তারা দেয়। তার ভিত্তিতে মহামান্য় আদালত আমাদের নির্দেশ দেয়, সেগুলিকে মূল্যায়ন করতে। আমাদের অ্য়ানসার কি অনুসারে। ফলে, সেটাই আমাদের সোর্স।’’
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।
আরও পড়ুন: Mamata Banerjee: 'আমরা চাকরি দিচ্ছি, আর ওরা চাকরি খাচ্ছে' ফের আক্রমণে মুখ্যমন্ত্রী