কলকাতা: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (Recruitment Scam) ফের পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee) জামিনের আর্জি খারিজ। আড়ালে থেকে দুর্নীতিতে কলকাঠি নেড়েছেন পার্থই, দাবি সিবিআইয়ের


'এমনভাবে অভিযুক্তরা অপরাধ করত, যাতে ধরা না পড়েন। তদন্তে দেখা যাচ্ছে গোটা নিয়োগ দুর্নীতির ছবিতেই রয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। যাঁরা দুর্নীতিতে থাকতে চাইতেন না, প্রশ্ন তুলতেন, তাঁদের পদত্যাগে বাধ্য় করা হত', কথা না শুনলে হুমকিও দেওয়া হত বলে অভিযোগ সিবিআইয়ের আইনজীবীর। '৮ জানুয়ারি, ২০২০: পার্থর বাড়িতে বৈঠক থেকে এক আধিকারিককে পদত্যাগে বাধ্য করা হয়। শিক্ষক সমাজ গড়েন, চিকিৎসক ভুল করলে একজনের ক্ষতি। যেভাবে অযোগ্য প্রার্থীদের শিক্ষক করা হয়েছে, তাতে সমাজ কোথায় যাবে?', পার্থর জামিনের বিরোধিতা করে চাঞ্চল্যকর দাবি সিবিআইয়ের আইনজীবীর। 


২০২২ সালের ২৩ জুলাই ১৯ ঘণ্টা ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদের পর নাকতলার বাড়ি থেকে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করেছিল ED। তাঁর ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের জোড়া ফ্ল্যাটে মিলেছিল গুপ্তধনের খোঁজ। ডায়মন্ড সিটি সাউথ আবাসনের ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয়েছিল ২১ কোটি ২০ লক্ষ টাকা। বেলঘরিয়ার ফ্ল্য়াট থেকে পাওয়া গিয়েছিল ৩০ কোটি নগদ ও কয়েক কোটি টাকার গয়না। 


হদিশ মেলে পার্থ ও অর্পিতার নামে একাধিক ফ্ল্য়াট, বাংলো, বাগানবাড়ির। এখানেই শেষ নয়। তদন্তে উঠে এসেছিল একের পর এক চোখ কপালে তোলা তথ্য। হাইকোর্টে (Calcutta High Court) রিপোর্ট জমা দিয়ে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা দাবি করে, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রায় ৩৫টি ভুয়ো কোম্পানির হদিশ পেয়েছিল তারা। ওই সমস্ত কোম্পানি খুলেছিলেন ধৃত প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। সে সংস্থার মাধ্যমে চাকরি বিক্রির কোটি কোটি কালো টাকা সাদা করা হয়েছিল বলে রিপোর্টে দাবি করা হয়েছিল।


আরও পড়ুন, ২১ ফেব্রুয়ারিতে ১০০ দিনের কাজের ২১ লক্ষ শ্রমিকের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা, আশ্বাস মুখ্যমন্ত্রীর


সেই থেকে প্রেসিডেন্সি জেলে বন্দি রয়েছেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী। হাইপ্রোফাইল বন্দি হিসেবে জেলে বাড়তি কোনও সুবিধা পান না প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী। তবে জেলবন্দি থাকাকালীন হাতে আংটি পরা নিয়ে বিতর্কে জড়ান পার্থ চট্টোপাধ্যায়। সূত্রের খবর, সেলের মধ্যে এক কোণায় ছোট্ট টয়লেট থাকলেও স্নান করার ক্ষেত্রে সকল বন্দিদের জন্য কমন শৌচাগারই ব্যবহার করতে হয় তাঁকে। জেলে ২৪ ঘণ্টার জন্য সহায়ক চেয়ে আবেদন করেছিলেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী। কিন্তু সেই আবেদনও নাকচ হয়ে যায়। পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়ের স্বাস্থ্য় পরীক্ষার পর, চিকিৎসকরা জানিয়ে দেন, শুধুমাত্র ব্য়ায়ামের সময় সহায়ক দেওয়া যেতে পারে।