কলকাতা : দমদম ক্যান্টনমেন্টে (Dumdum) গোপাল দলপতির কোচিং সেন্টারের হদিশ। ২০০৪-০৫ সালে পোস্ট অফিস রোড এলাকায় একটি ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে কোচিং শুরু করেন গোপাল দলপতি (Gopal Dalapati)। সেই সময় পরিচিত ছিল গোপাল স্যারের কোচিং নামে। দমদম ক্যান্টনমেন্টের (Dumdum Cantonment) সেই ফ্ল্যাটের মিলেছে খোঁজ।


নিয়োগ গোলকধাঁধা, একের পর এক নাম


নিয়োগ দুর্নীতির গোলকধাঁধায় এবার হৈমন্ত্রী-রহস্য। মানিক ভট্টাচার্যর (Manik Bhattacharya) ঘনিষ্ঠ তাপস মণ্ডলের (Tapas Mandal) মুখে উঠে এসেছিল হুগলির যুব তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষের নাম। ইতিমধ্যেই তিনি গ্রেফতার হয়েছেন। এই কুন্তলের মুখে উঠে আসে গোপাল দলপতির নাম। তাঁর মুখে আবার শোনা গিয়েছিল, কালীঘাটের কাকু সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের নাম। আর এসবের মধ্যেই কুন্তলের মুখে উঠে এসেছে হৈমন্তী গঙ্গোপাধ্যায় (Haimanti Gangop[adhyay) নামে আরেক রহস্যময়ী নারীর নাম।


ফের খোঁজ নেই গোপালের


এদিকে ফের একবার কোঁজ নেই গোপাল দলপতির। এর আগে গোপাল দলপতি সংবাদমাধ্যমের সামনে প্রকাশ্যে এলেও, বৃহস্পতিবার CBI-এর ডাকে হাজিরা দেননি তিনি। তাঁকে ফোনেও পাওয়া যাচ্ছে না বলেই খবর। প্রসঙ্গত, গোপাল দলপতির জন্ম পূর্ব মেদিনীপুরে। কিন্তু গোপাল দলপতি ও হৈমন্তী গঙ্গোপাধ্যায়, দু-জনের ফ্ল্যাটের হদিশ মিলেছে দক্ষিণ কলকাতার বেহালায়। রাজা রামমোহন রায় রোডের এই বহুতলে ফ্ল্যাট রয়েছে হৈমন্তী ও গোপালের। পাশাপাশি এদিনই কোঁজ মিলেছে গোপাল দলপতির কোচিং সেন্টারেরও। 


রমরমিয়ে চলছে কোচিং সেন্টার


২০০৪-০৫ সালে পোস্ট অফিস রোড এলাকায় একটি ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে কোচিং শুরু করেন গোপাল দলপতি। সেই সময় কোচিং সেন্টার পরিচিত ছিল গোপাল স্যারের কোচিং নামে। দমদম ক্যান্টনমেন্টের ফ্ল্যাটে রমরমিয়ে চলত যে কোচিং সেন্টার। 'গোপাল স্যারের অঙ্কের মাথা ভাল, দমদম ক্যান্টনমেন্টে বিয়ে করেছিলেন গোপাল দলপতি, পরে সেই স্ত্রী-র সঙ্গেও ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়, কম্পিউটার ব্যবসা শুরু করে ৫০ হাজার টাকা ধার চায় গোপাল। ৪০ হাজার টাকা দেওয়ার পর ২০ হাজার টাকা শোধ দেয় গোপাল। বাকি টাকা গোপাল দলপতি আর শোধ দেয়নি। দাবি গোপাল দলপতির ভাড়া করা ফ্ল্যাটের মালিক মৃণাল দাশগুপ্তর। 


হৈমন্তীকে নিয়ে বাড়ছে রহস্য


এদিকে, হৈমন্তী গঙ্গোপাধ্যায়কে নিয়েও ক্রমেই বাড়ছে রহস্য। হৈমন্তীর পৈতৃক বাড়ি হাওড়ার সাঁতরাগাছির উত্তর বাকসাড়ায়। কুন্তল বর্ণিত রহস্যময়ী নারী তিনি। গতকাল আদালত থেকে জেলের পথে যাওয়ার সময় কুন্তলের দাবি ছিল, সব জানতেন গোপাল দলপতি ওরফে আরমান গঙ্গোপাধ্যায়ের স্ত্রী হৈমন্তী গঙ্গোপাধ্যায়। তাঁদের কাছেই যাবতীয় অর্থ রয়েছে বলেও দাবি করেছিলেন কুন্তল ঘোষ (Kuntal Ghosh)।


আরও পড়ুন- গোপালের সঙ্গে ভালোবেসে বিয়ে,ডিভোর্স, বাড়ির সামনে আলিশান গাড়ি, কী করতেন হৈমন্তী