কলকাতা: বহুতলগুলিতে পৃথক ভোটকেন্দ্রের ভবিষ্যৎ কী? জেলা নির্বাচনী আধিকারিকদের রিপোর্টে চূড়ান্ত অসন্তোষ প্রকাশ করল নির্বাচন কমিশন।এই নিয়ে এবার DEO-দেরকে সতর্ক করা হল কমিশনের তরফে। একে DEO-দের ব্যর্থতা বলে স্পষ্ট উল্লেখ করা হল কমিশনের কড়া চিঠিতে। অবিলম্বে বহুতলগুলিতে জেলা নির্বাচনী আধিকারিকদের নতুন করে সমীক্ষা করার নির্দেশ দিল নির্বাচন কমিশন। বলা হল, ২৫০টি বাড়ি কিংবা ৫০০ জন ভোটার রয়েছেন এমন বহুতল, হাউসিং সোসাইটি, কলোনি, বস্তি এলাকায় সমীক্ষা করে প্রস্তাবিত ভোটকেন্দ্রের তালিকা জমা দিতে হবে। এই কাজ শেষ করতে হবে ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে। এবারই প্রথম রাজ্যের বহুতলগুলিতে ভোটকেন্দ্র তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। এনিয়ে জেলা নির্বাচনী আধিকারিকদের থেকে রিপোর্ট চাওয়া হয়েছিল। সেখানে দেখা যাচ্ছে শুধুমাত্র দক্ষিণ কলকাতার ২টি বহুতল ছাড়়া রাজ্যের আর কোনও জায়গার বহুতলের নাম রিপোর্টে দেওয়া হয়নি। জাতীয় নির্বাচন কমিশনের তরফে CEO-কে দেওয়া চিঠিতে পরিষ্কার বলা হল, বহুতলে কোনও ভোটকেন্দ্রের প্রস্তাব পশ্চিমবঙ্গ থেকে পাঠানো হয়নি।এই বিষয়টিকে অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে দেখছে কমিশন। জনপ্রতিনিধি আইনে DEO-দের দায়িত্ব এবং কর্তব্য বলা রয়েছে। তাই প্রয়োজনীয় জায়গায় বুথ না হলে তার দায় জেলা নির্বাচনী আধিকারিকদের (ডিইও) নিতে হবে।এই নিয়ে নানান বক্তব্য এসেছে কলকাতার একাধিক বহুতল কর্তৃপক্ষের তরফে। এখনও পর্যন্ত বহুতলে বুথের তালিকা কমিশন হাতে না পেলেও, বহুতলগুলিতে বুথ করতে বদ্ধপরিকর তারা। সেই কারণেই বাড়ানো হল বুথ বিন্যাসের সময়সীমা। ১৬ ই ডিসেম্বর খসড়া ভোটার তালিকার সঙ্গেই নতুন বুথ বিন্যাসের তালিকাও প্রকাশ করার কথা ছিল নির্বাচন কমিশনের। কিন্তু সেই তারিখ পিছিয়ে করা হল ৭ই ফেব্রুয়ারি। এরই পাশাপাশি, কমিশন সূত্রে খবর এবারে বুথের সংখ্যা বেড়ে প্রায় ৯৪ হাজারে পৌঁছনোর কথা থাকলেও সেই সংখ্যা কমবে। আবাসনগুলিতে কি শেষমেষ বুথ করতে পারবে নির্বাচন কমিশন? নাকি জটিলতা কাটাতেই পেরিয়ে যাবে সময়?

Continues below advertisement

এদিকে, এনুমারেশন ফর্ম পূরণের শেষ দিনে ৬টি রাজ্যে সময়সীমা বাড়াল কমিশনের। পশ্চিমবঙ্গ বাদে ৬টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে সময়সীমা বৃদ্ধি কমিশনের। তামিলনাড়ু, গুজরাত, মধ্যপ্রদেশ, ছত্তীসগঢ়, আন্দামান-নিকোবর ও উত্তরপ্রদেশে SIR-এর সময়সীমা বৃদ্ধি করা হয়েছে। জাতীয় নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত এনুমারেশন ফর্ম পূরণ, ১৯ ডিসেম্বর খসড়া তালিকা। সিইও-দের অনুরোধ মেনে পরিবর্তন করা হয়েছে

Continues below advertisement