কলকাতা: পড়ুয়ার প্রাণের বিনিময়ে অবশেষে ঘুম ভাঙল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের (Jadavpur University)। রাত ৮টা থেকে সকাল ৭টা পর্যন্ত প্রবেশে পরিচয়পত্র (ID Card) বাধ্যতামূলক, জানিয়ে দিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (Registrar) স্নেহমঞ্জু বসু। সঙ্গে স্পষ্ট জানানো হল, ক্যাম্পাসে মাদক নেওয়ার সময় ধরা পড়লে কড়া পদক্ষেপ করা হবে। কিন্তু হস্টেলে সিসিটিভি ক্যামেরা বসবে কবে?  এখনও স্পষ্ট জানাতে পারলেন না কর্তৃপক্ষ। আপাতত নির্দিষ্ট কয়েকটি জায়গায় সিসি ক্যামেরা বসানোর আশ্বাস দেওয়া হয়েছে কর্তৃপক্ষের তরফে। শুধু গেটেই সিসি ক্যামেরা বসানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, জানালেন রেজিস্ট্রার।  

বিশদে যা বললেন...
এদিন রেজিস্ট্রার আরও জানিয়েছেন, যদি কারও কাছে বৈধ পরিচয়পত্র না থাকে, সেক্ষেত্রে তাঁকে অন্য কোনও বৈধ পরিচয়পত্র পেশ করতে হবে। এতেই শেষ নয়। তিনি কোথায়, কার সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছেন, তার বিস্তারিত বিবরণও লিখে দিয়ে যেতে হবে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টারে। যাঁর সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছেন, তাঁর কনট্যাক্ট নম্বরও দিতে হবে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে। পাশাপাশি যে কোনও দু'চাকা বা চার চাকা গাড়ির উপর যাদবপুরের স্টিকার থাকা জরুরি।  যদি স্টিকার না থাকে, তা হলে সেই গাড়িকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফটকে তার রেজিস্ট্রেশন নম্বর জমা দিতে হবে। নিরাপত্তাকর্মীদের কাছে এই সমস্ত তথ্য় জমা রাখা থাকবে। পাশাপাশি, প্রয়োজন মতো গাড়ির চালক বা যাত্রীর পরিচয়পত্র দেখতে চাওয়া হতে পারে, জানান স্নেহমঞ্জু বসু। একই সঙ্গে ক্যাম্পাসের যে কোনও অংশে মদ, মাদক-সহ যে কোনও ধরনের বেআইনি উপাদান সেবনের ক্ষেত্রেও কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার। যে কোনও বেআইনি পদক্ষেপ করা হলেও রেয়াত করা হবে না, স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে সে কথাও। রেজিস্ট্রারের কথায়, 'এমন কোনও কাজ করার জন্য কেউ যদি ধরা পড়েন, তা হলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'


প্রশ্নে সিসিটিভি...
পড়ুয়ামৃত্যুর পর যে বিষয়টি নিয়ে সবচেয়ে বেশি আলোচনা হয়েছে, তা হল সিসিটিভি। সেই ব্যাপারে কী বললেন রেজিস্ট্রার? তাঁর ব্যাখ্যা, সিসি ক্যামেরা বসানোর সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা এগজিকিউটিভ কাউন্সিলের। কিন্তু এখনই সেই এগজিকিউটিভ কাউন্সিলের বৈঠক ডাকা যাচ্ছে না। আপাতত তাই কিছু 'স্ট্র্যাটেজিক' জায়গা, যেমন হস্টেলের গেট, ক্যাম্পাসের বিভিন্ন গেট, সেখানের সিসিটিভি বসানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে এই বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরাই সিদ্ধান্ত নিয়ে যা করার করছেন। কিছুটা সময়ও লাগতে পারে, বার্তা রেজিস্ট্রারের। 


 


আরও পড়ুন:ছাত্রমৃত্যুর তদন্ত রিপোর্টে তীব্র অসন্তোষ, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে একাধিক কড়া প্রশ্নের উত্তর চাইল UGC