সুনীত হালদার, হাওড়া : হুগলি নদীর এপার-ওপার। কলকাতার পাশাপাশি ঘূর্ণিঝড় রেমালের ( Remal Update ) জেরে বিপর্যস্ত হাওড়ার জনজীবনও। রাতভর বৃষ্টিতে হাওড়া পুরসভার বিস্তীর্ণ এলাকা জলমগ্ন।


যতদূর চোখ যায় শুধুই জল। জলের তলায় সালকিয়া, বেলগাছিয়া, টিকিয়াপাড়া, রামরাজাতলা, ঘুসুড়ি এবং লিলুয়ার বেশ কিছু জায়গা। সমস্যায় পড়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। রবিবার রাতে ঝড়ের সময় মধ্য হাওড়ার হালদার পাড়া সেকেন্ড বাই লেনে একটি টালির চালের বাড়ির ওপর বড় গাছ ভেঙে পড়ে। অল্পের জন্য রক্ষা পান বাসিন্দারা। পুরসভার বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের কর্মীরা ওই গাছ কেটে ফেলার কাজ শুরু করেছেন। 


হাওড়া পুরসভার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ১১ টি পাম্প হাউজের পাম্প গুলি চালিয়ে জল নামানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। পাশাপাশি সাতটি মোবাইল পাম্প চালু করা হচ্ছে, যাতে জল দ্রুত নেমে যায়। 


রেমালের জেরে সোমবার সকালে বিপর্যস্ত ছিল শিয়ালদা দক্ষিণ শাখার রেল চলাচল। হাসনাবাদ শাখার ট্রেন চলাচলও বন্ধ ছিল। তবে হাওড়া স্টেশনের পূর্ব এবং দক্ষিণ পূর্ব রেল সূত্রের খবর মোটের উপর ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। দক্ষিণ পূর্ব রেল থেকে জানানো হয়েছে, সোমবার হাওড়া দিঘা আপ এবং ডাউন তাম্রলিপ্ত এক্সপ্রেস বন্ধ রাখা হয়েছে। রেল আধিকারিকরা জানিয়েছেন ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক রাখার জন্য যাবতীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।


সোমবার হাওড়া ও কলকাতার মধ্যে ফেরি সার্ভিস  বন্ধ রাখা হয়েছে। হুগলি নদী জলপথ পরিবহন সমবায় সমিতি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আবহাওয়ার উন্নতি না হওয়া পর্যন্ত ফেরি সার্ভিস বন্ধ থাকবে।  


ঘূর্ণিঝড় রেমাল আছড়ে পড়ার আগেই রাজ্যে প্রভাব পড়তে শুরু করে ট্রেন ও বিমান পরিষেবায়। রবিবার রাত ১১টা থেকে সোমবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ৫৩টি লোকাল ট্রেন বাতিল, বেশ কিছু দূরপাল্লার ট্রেনও বাতিল করা হয়। রবিবার বেলা ১২টা থেকে সোমবার সকাল সাড়ে ৮ টা পর্যন্ত, প্রায় ২১ ঘণ্টা বন্ধ রাখা হয়েছিল কলকাতা বিমানবন্দরে সমস্ত উড়ান পরিষেবা। এর ফলে ৩৪০টি অন্তর্দেশীয় ও ৫৪টি আন্তর্জাতিক বিমান বাতিল করা হয়।  ঝড়ে ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে  সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিয়েছে কলকাতা বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। 


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।  


আরও পড়ুন: ছেলেকে খুঁজতে গিয়ে কার্নিশ ভেঙে মৃত্যু, কলকাতায় প্রাণ কাড়ল রেমাল