সন্দীপ সমাদ্দার, পুরুলিয়া: দুর্বিষহ গরমের (Summer) মধ্যেই, নিদারুণ জলকষ্ট (Water Crisis) পুরুলিয়ার (Purulia) ঝালদার একাধিক জায়গায়। প্রতিবাদে ৭ ঘণ্টা রাজ্য সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ (Agitation) দেখালেন দুটি ওয়ার্ডের বহু সংখ্যক বাসিন্দা। জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি দফতরের সঙ্গে কথা বলে সমস্যা মেটানোর আশ্বাস দিয়েছেন ঝালদা পুরসভার (Jhalda Municipality) চেয়ারপার্সন।


কী ঘটল?
গনগনে রোদের আঁচে পুড়ছে বাংলা। কার্যত ভাজা ভাজা হচ্ছে দক্ষিণবঙ্গ। গত কালও পুরুলিয়ার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৫.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস যা কিনা স্বাভাবিকের থেকে ১ ডিগ্রি বেশি। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা পৌঁছে যায় ৪৩.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে যা কিনা স্বাভাবিকের থেকে ৬ ডিগ্রি বেশি। আর এই দুর্বিষহ গরমের মধ্যেই, নিদারুণ জলকষ্ট শুরু হয়েছে পুরুলিয়ার ঝালদার একাধিক জায়গায়। তার প্রতিবাদ জানিয়ে, রোদ মাথায় নিয়েই এবার আন্দোলন শুরু করেছেন কংগ্রেস পরিচালিত ঝালদা পুরসভার ২ ও ১১ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দারা। বন্দনা চট্টোপাধ্যায় নামে ঝালদার এক বাসিন্দা বললেন, 'জলের দাবিতেই অবরোধ করেছিল।২ নম্বর, ১১ নম্বর ওয়ার্ডে দীর্ঘদিন জল নেই। কেউ কিছু স্টেপ নেয়নি।' আকাশ থেকে আগুন ঢেলে দিচ্ছে সূর্য। এই পরিস্থিতিতে মাথার ওপর ত্রিপলের আচ্ছাদন খাটিয়ে, বুধবার সকাল ৭টা থেকে রাঁচি-পুরুলিয়া রাজ্য সড়ক অবরোধ করেন দুটি ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের একাংশ। মাঝ রাস্তায় বালতি, জারিকেন, কলসি রেখে ঘণ্টার পর ঘণ্টা চলতে থাকে অবরোধ। অবরোধের জেরে আটকে পড়ে বহু গাড়ি। পুলিশ এসে কথা বললেও, বিক্ষোভকারীরা অবরোধ তুলতে চাননি। তাঁদের অভিযোগ, ঝালদা পুরসভাকে বারবার জানিয়েও জল সঙ্কটের কোনও সুরাহা হয়নি। ঝালদার বাসিন্দা বেবি মুখোপাধ্যায় বললেন, 'আমাদের জলের খুবই সমস্যা। সেই সমস্যা কিছুতেই মিটছে না। অনেক জায়গায় গিয়েছি। পুরসভাতে দরখাস্ত দিয়েও কিছু হয়নি। ২ আর ১১ নম্বর ওয়ার্ডে জল নেই। জল না দিলে আন্দোলন তুলব না।'


কী বলছে প্রশাসন?
ঝালদা পুরসভার চেয়ারপার্সন শিলা চট্টোপাধ্যায়ের বক্তব্য, 'ঝালদায় জলের সমস্যা আছেই। সাপ্লাইয়ের জল যেটা পাই, পিএইচই করে পুরোটা। ওটায় পুরসভা কিছু করতে পারে না। পিএইচই-কে চিঠি করেছি। তার কপি ডিএম-কে দিয়েছি। ওঁরা টেন্ডার করছেন বলে শুনেছি। আমরা পুরো ১২টা ওয়ার্ডের জন্যই দেখে যেতে বলেছি।' জল সঙ্কট নিয়ে বৃহস্পতিবার জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি দফতরের সঙ্গে বৈঠকের আশ্বাস দিয়েছে ঝালদা পুরকর্তৃপক্ষ। তারপরই দুপুর দুটো নাগাদ ওঠে অবরোধ। 


আরও পড়ুন:বহুবার একই শব্দের ব্যবহার, এলোমেলো কথা, মুকুলের স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বেগ, মনোবিজ্ঞান যা বলছে...