নয়াদিল্লি: রাহুলের (Rahul Gandhi) সাংসদ পদ খারিজ ইস্যুতে মোদি সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরীর (Adhir Chowdhury)। বিজ্ঞপ্তি জারি লোকসভার সচিবালয়ের। মোদিকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে গতকালই সাজা শুনিয়েছিল সুরাতের আদালত। রাহুলকে ২ বছরের কারাদণ্ডের সাজা শুনিয়েছিল আদালত। ২ বছরের জেলের সাজার পরেই জামিন পান রাহুল গাঁধী। এই ইস্যুতে এদিন অধীর চৌধুরী বলেন, 'রাহুল গাঁধীর বিরুদ্ধে এটা প্রতিহিংসার রাজনীতি মোদি সরকারের।'


অধীর চৌধুরী আরও বলেন,' এটা প্রতিহিংসার রাজনীতি। মূলত  যেহেতু রাহুল গাঁধী জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন, বিশেষ করে ভারত জোড়ো যাত্রার পরিপ্রেক্ষিতে হজম হয়নি মোদি সরকারের। এটা একটি স্বৈরাচারী সরকারের নিষ্ঠুর প্রদর্শন।' এ প্রসঙ্গে বিজেপি রাহুলকে তীব্র আক্রমণ করলেও, নিজের অবস্থানে অনড় কংগ্রেস সাংসদ। ২০১৯ সালে লোকসভা ভোটের প্রচারে মোদি পদবি নিয়ে মন্তব্য় করেছিলেন রাহুল গাঁধী। তিনি বলেছিলেন, সব চোরেদের পদবি মোদি কেন। এরপরই তাঁর বিরুদ্ধে এফআইআর করেন গুজরাতের বিজেপি বিধায়ক এবং প্রাক্তন মন্ত্রী পূর্ণেশ মোদি। সেই মামলার রায় ঘোষণার জন্য়, বৃহস্পতিবার সকালেই গুজরাতের সুরাত আদালতে পৌঁছান রাহুল। 






লন্ডনে ভারতীয় গণতন্ত্র নিয়ে মন্তব্যের প্রেক্ষিতে, রাহুল গান্ধীর ক্ষমা চাওয়ার দাবিতে কার্যত সংসদ অচল করে রেখেছে বিজেপি শিবির। ভারত জোড়ো যাত্রায়, নারী নির্যাতন নিয়ে মন্তব্য়ের প্রেক্ষিতে তথ্য জানতে, সম্প্রতি রাহুল গান্ধীর দুয়ারে পৌঁছে গিয়েছিল দিল্লি পুলিশ। বৃহস্পতিবার পুরনো মন্তব্য়ের প্রেক্ষিতে তাঁকে সাজা শোনায় গুজরাতের আদালত। সঙ্গে সঙ্গেই তাঁর জামিন মঞ্জুর হয়।


অপরদিকে, 'সত্যি কথা বলার সাজা পেলেন রাহুল',বিপক্ষের কণ্ঠস্বর রোখার চেষ্টা, মন্তব্য মল্লিকার্জুন খাড়গের।  বিজেপিকে একহাত নেন কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে। তিনি আরও বলেন, 'ওঁকে (রাহুল গান্ধী) খারিজ করার সব চেষ্টাই করেছে ওরা(বিজেপি)। যাঁরা সত্যি বলছেন, তাঁদের রাখতে চান না ওঁরা। কিন্তু, আমরা সত্যিটা বলে যাব। আমরা জেপিসি-র দাবি করব। প্রয়োজন পড়লে গণতন্ত্র রক্ষা করতে আমরা জেলে যাবে।' 


আরও পড়ুন, 'বিরোধী নেতারাই BJP-র টার্গেট', রাহুলের পাশে দাঁড়িয়ে আক্রমণ মমতা-অভিষেকের


এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) ট্যুইটে বলেন, 'প্রধানমন্ত্রীর নতুন ভারতে বিরোধী নেতারা বিজেপির প্রাইম টার্গেট। অপরাধের ইতিহাস থাকলেও, মন্ত্রিসভায় আছেন বিজেপি নেতারা। অপরাধের ইতিহাস থেকেই বিজেপি নেতারা মন্ত্রিসভায়, মন্তব্যের জন্য বিরোধী নেতাদের সাংসদ পদ খারিজ',  সাংবিধানিক গণতন্ত্রে আরও অবমননের সাক্ষী হলাম, ট্যুইট তৃণমূলনেত্রীর। পাশাপাশি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) টুইট করে বলেছেন, গণতান্ত্রিক ভারত এখন অলীক, রাহুলের পাশে দাঁড়িয়ে আক্রমণ অভিষেকের।