কলকাতা : মাঝে আর কয়েক মাস, তারপরই লোকসভা নির্বাচন (Loksabha Election)  দেশে। চব্বিশের নির্বাচনের বছর খানেক আগে থেকেই কি শুরু হয়ে গেল বিরোধী শক্তিদের একত্রিত হওয়ার কাজ ? সেই জল্পনার পালে আরও খানিকটা হাওয়া তুলেই এদিন কলকাতায় আসার পরেই কালীঘাটে তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) সঙ্গে দেখা করতে যান জেডিএস নেতা তথা কর্ণাটকের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এইচ ডি কুমারস্বামী। বেশ কিছুক্ষণ তাঁদের মধ্যে বৈঠকও হয়। ঠিক কোন বিষয়ে তাঁদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে তা নিয়ে অবশ্য প্রকাশ্যে সেভাবে মুখ খোলেননি কেউ-ই। মিষ্টি, সিঙাড়া সহযোগে সৌজন্য সাক্ষাতের কথা বললেও আসলে বৈঠককে আগামীর পরিকল্পনা হিসেবেই দেখছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা। 


গত কয়েকদিনের মধ্যে প্রথমে অখিলেশ যাদব (Akhilesh Yadav), তারপর নবীন পট্টনায়েকের (Naveen Patnaik) পর এবার জেডিএস (JDS) নেতা এইচ ডি কুমারস্বামীর (HD KumarSwami) সঙ্গে বৈঠকে করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এমন একটা দিনে তাঁদের সাক্ষাৎ হল, যেদিন রাহুল গাঁধীর (Rahul Gandhi) সাংসদ পদ কেড়ে নেওয়া হয়েছে মোদি পদবী ঘিরে তাঁর মন্তব্যের জেরে সুরাতের আদালতের নির্দেশের ভিত্তিতে পদ গিয়েছে কংগ্রেস সাংসদের। আর যে পদক্ষেপের জেরে একযোগে সরকারের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন সমস্ত বিরোধীরাই। 


প্রসঙ্গত, অখিলেশ ও কুমারস্বামী কালীঘাটে এসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করলেও পুরী গিয়ে সেখানে নবীন পট্টনায়েকের সঙ্গে দেখা করেছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো। গত বৃহস্পতিবার বৈঠকে অবিজেপি-অকংগ্রেস জোট নিয়ে কোনও আলোচনা হল কি না জানতে চাইলে অবশ্য কেউ সেভাবে মুখ খুলতে চাননি। ওডিশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক বলেছিলেন,' ভারতের যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো যাতে সর্বদা শক্তিশালী থাকে, এই ব্যাপারে আমরা একমত। তবে আমাদের মধ্যে সুন্দর, সৌজন্যমূলক আলোচনা হয়েছে। কোনও বিষয়ে গুরুগম্ভীর আলোচনা হয়নি।'


আরও পড়ুন- 'বিরোধী নেতারাই BJP-র টার্গেট', রাহুলের পাশে দাঁড়িয়ে আক্রমণ মমতা-অভিষেকের


এদিকে, তিহাড় জেলে বন্দি অনুব্রত মণ্ডলের ওপরই আস্থা রাখল তৃণমূল কংগ্রেস। কেষ্টই থাকলেন তৃণমূলের বীরভূমের জেলা সভাপতি। কেষ্টর অনুপস্থিতিতে বীরভূম দেখবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই। ৭ থেকে বেড়ে ৯জনের কোর কমিটি গঠন করা হয়েছে। এদিকে সূত্রের খবর, কেষ্ট নেই, আরও মজবুত করতে হবে সংগঠনকে, নির্দেশ নেত্রীর। পাশাপাশি বেশি কথা বলবে না, কাজল শেখকে ধমক তৃণমূলনেত্রীর। প্রত্যেক সপ্তাহে কোর কমিটিকে বৈঠক ও মাসে একটি জেলা পর্যায়ে বৈঠকের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।