গৌতম মণ্ডল ও সুকান্ত মুখোপাধ্যায়, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: এবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) উস্তিতে শ্যুটআউট। হটুগঞ্জে দোকানে ঢুকে ব্যবসায়ীকে (Businessman) লক্ষ্য করে গুলি ও বোমা ছোড়ার অভিযোগ উঠল দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। তোলা না দেওয়ায় হামলা বলে দাবি করেছেন গুলিবিদ্ধ ব্যবসায়ী। ঘটনায় মূল অভিযুক্ত, কুখ্যাত দুষ্কৃতী (miscreants arrest) রেজাউল লস্করকে গ্রেফতার করেছে উস্তি থানার পুলিশ। স্থানীয় সূত্রে খবর, গতকাল রাত সোয়া ৮টা নাগাদ মুদিখানার দোকান বন্ধ করছিলেন ব্যবসায়ী গোপীনাথ ওরফে নিখিল সাহা। অভিযোগ, সেইসময় দুই দুষ্কৃতী দোকানে ঢুকে তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। এরপর দোকান লক্ষ্য করে বোমা ছুড়ে তারা পালায়। ব্যবসায়ীর বুকের ডানদিকে গুলি লাগে। রাতেই তাঁকে নিয়ে আসা হয় এসএসকেএমে। জনবহুল এলাকায় গুলি চলার ঘটনায় স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়েছে।
নদিয়ায় গুলি...
মাটি বোঝাই গাড়ি চলাচলকে কেন্দ্র করে নদিয়ার চাকদায় এদিনই আবার গুলি চলে। দুষ্কৃতীদের সঙ্গে গ্রামবাসীদের ধস্তাধস্তিতে আহত হন এক ব্যক্তি। তাঁকে কল্যাণীর জেএনএম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এই ঘটনায় গতকাল গভীর রাতে উত্তেজনা ছড়ায় চাকদার বিষ্ণুপুর পদ্মভিলা গ্রামে। স্থানীয়দের অভিযোগ, মাটি বোঝাই গাড়ি চলাচল করায়, চাকদা-বনগাঁ রোডে প্রচুর ধুলো ওড়ে। রাস্তাও খারাপ হচ্ছে। প্রতিবাদে গতকাল মাটি বোঝাই গাড়ি আটকে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয়রা। অভিযোগ, এরপরই গ্রামবাসীদের ভয় দেখাতে দুষ্কৃতীরা শূন্যে কয়েক রাউন্ড গুলি ছোড়ে। পরে চাকদা থানার পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়। তৃণমূূলের প্রধানের অভিযোগ, মাটি বোঝাই গাড়ি চলাচল নিয়ে ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দফতর ও থানায় বারবার জানিয়েও কাজ হয়নি। প্রশাসনের প্রতিক্রিয়া এখনও মেলেনি।
চেনা ঘটনা পূর্ব বর্ধমানে...
গত ফেব্রুয়ারিতে বালি বোঝাই ডাম্পার ধাওয়া করায় পরিবহণ দফতরের গাড়ি লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েছিল মাফিয়া। পূর্ব বর্ধমানের পূর্বস্থলীর ওই ঘটনায় অল্পের জন্য রক্ষা পান পরিবহণ কর্মী ও পুলিশ কর্মীরা। ঘটনার দিন পরিবহণ দফতরের গাড়িতে অভিযানে বের হন ৩ পরিবহণ কর্মী ও ২ পুলিশ কর্মী। কালনা থেকে পূর্বস্থলী পর্যন্ত বালি বোঝাই ডাম্পার ধাওয়া করায়, গাড়ি লক্ষ্য করে গুলি চলে। ৫-৬ রাউন্ড গুলি চলে বলে অভিযোগ। গাড়ির সামনের কাচ ক্ষতিগ্রস্ত হলেও প্রাণে বেঁচে যান সরকারি কর্মীরা। এই ঘটনায় এক ডাম্পার মালিককে গ্রেফতার করে পূর্বস্থলী থানার পুলিশ। প্রসঙ্গত, মুখ্যমন্ত্রীর হুঁশিয়ারি হোক বা প্রশাসনিক অভিযান, বালি মাফিয়ার দৌরাত্ম্য চলছেই। মাসখানেক আগেই পূর্ব বর্ধমানের মঙ্গলকোটে বৈধ ঘাটেই অজয় থেকে বালি পাচারের অভিযোগ উঠেছিল। পাইপলাইনের মাধ্যমে মাঝ নদী থেকে জল সহ বালি তুলে তা কিনারায় জড়ো করা হচ্ছে। দিনের আলোয় অবাধে বালিচুরি চলছে বলে অভিযোগও ওঠে। এই ঘটনার কয়েকদিন আগেই মঙ্গলকোটের নতুনহাট বালিঘাট পরিদর্শনে এসেছিল পুলিশ-প্রশাসনের বড় টিম। সেদিন অবশ্য কোনও পাচারকারীকে দেখা যায়নি। মাঝ অজয় থেকে যেখানে বেআইনি ভাবে বালি তোলা হচ্ছে, তার কাছেই রয়েছে লোচনদা সেতু। শুক্রবার এলাকা ঘুরে দেখে সেতুর পিলারের সুরক্ষা নিয়ে উদ্বেগপ্রকাশ করেন মঙ্গলকোট ব্লক অফিসের জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার। বালি মাফিয়ার দৌরাত্ম্য ঠেকাতে গত বছরই নতুন ‘স্যান্ড মাইনিং পলিসি' ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে তার পরেও বন্ধ হয়নি বালিপাচার
আরও পড়ুন:'হাইকোর্টের নির্দেশ মেনেই অনুব্রতকে কলকাতায় আনতে হবে', নির্দেশ সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতের