কলকাতা: আর জি করে (RG Kar Scam) দুর্নীতির তদন্তে এবার নয়া মোড়। হাসপাতালের অধ্যাপক এবং ফরেন্সিক ডেমোনস্ট্রেটে নাম উঠে এল। স্বাস্থ্য সচিবকে চিঠিতে দিয়েছে সিবিআই। যেখানে উল্লেখ করা হয়েছে, সংশ্লিষ্টদের ভূমিকা ছিল সরঞ্জাম ক্রয়, হাউস স্টাফ মনোনয়নে।
দুর্নীতির তদন্তে নয়া মোড়: আর জি কর মেডিক্যালে 'দুর্নীতি', স্বাস্থ্য সচিবকে চিঠি সিবিআইয়ের। চিঠিতে সিবিআইয়ের দুর্নীতি দমন শাখার DIG জানিয়েছে, 'দুর্নীতির মামলার তদন্তে উঠে এসেছে সুজাতা ঘোষ ও দেবাশিস সোমের নাম। হাসপাতালের সরঞ্জাম ক্রয় ও হাউস স্টাফ মনোনয়নে মিলেছে সুজাতা-দেবাশিসের ভূমিকা' আর জি কর মেডিক্যালের সহযোগী অধ্যাপক সুজাতা ঘোষ। হাসপাতালের ফরেন্সিক বিভাগের ডেমোনস্ট্রেটর দেবাশিস সোম। সুপ্রিম কোর্টে ৩০ সেপ্টেম্বরের শুনানিতে বলেছিলেন সিনিয়র ডাক্তারদের আইনজীবী করুণা নন্দী জানিয়েছিলেন, 'আর্থিক দুর্নীতিতে অভিযুক্তরা এখনও স্বপদে বহাল আছেন।' সেই সময় রাজ্য জানানয়, সিবিআই বা অন্য কেউ কোনও তথ্য দিলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, আর জি কর মেডিক্যালের বিভিন্ন সামগ্রী কেনা ও হাউস স্টাফ নির্বাচনে এরা সক্রিয়ভাবে যুক্ত ছিলেন এরা। আর জি কর মেডিক্য়ালের আর্থিক দুর্নীতি মামলায় ফরেন্সিক মেডিসিন বিভাগের ডেমনস্ট্রেটর দেবাশিস সোমকে ইতিমধ্যেই একাধিকবার জিজ্ঞাসাবাদ করেছে CBI। তাঁর বাড়িতেও তল্লাশি চালানো হয়েছে। এবার, স্বাস্থ্যসচিবকে পাঠানো চিঠিতেও তাঁর নাম উল্লেখ করল CBI. সিবিআইয়ের চিঠিতে তাঁর নাম নিয়ে, আর জি কর মেডিক্যালের অ্যানাস্থেসিওলজির অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর সুজাতা ঘোষ জানিয়েছেন, 'আমি কোনওদিন কেনার ব্যাপারে যুক্ত ছিলাম না। কোনও মেডিক্যাল কলেজেই ছিলাম না। হাউজস্টাফের বিষয়ে ততটুকুই যুক্ত থেকেছি, যতটা ইউনিট হেড হিসেবে করা উচিত। আমার কোনও কিছু লুকোনোর নেই। CBI ডাকলে অবশ্যই সব তথ্য দেব।' স্বাস্থ্য দফতরের তরফে বলা হয়েছে, সিবিআইয়ের তরফে চিঠি তারা পেয়েছে। সিবিআইয়ের কাছে তাদের (আর জি কর মেডিক্য়ালের ২ চিকিৎসক) জড়িত থাকার বিষয়ে আরও বিস্তারিত জানতে চাওয়া হয়েছে। এখনও তার কোনও উত্তর পাইনি।
এদিকে, আর জি কর মেডিক্যালে আর্থিক অনিয়মের তদন্তে এবার সন্দীপ ঘোষ ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজে থাকাকালীন সময়ের তথ্য সংগ্রহেও নেমেছে CBI. বুধবার,
ন্যাশনাল মেডিক্য়াল কলেজের ৪ জন আধিকারিকের বয়ান রেকর্ড করে তারা। ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের, অর্থপেডিক বিভাগের অ্য়াসিস্ট্যান্ট প্রফেসর ছিলেন সন্দীপ ঘোষ। পরে, তাঁকে পাঠানো হয় মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজে। সেখান থেকে ২০১৭ সালে সন্দীপ ঘোষকে করা হয় ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের MSVP বা মেডিক্য়াল সুপারিনটেন্ডেন্ট ও ভাইস প্রিন্সিপাল। এই ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজেই প্রথম অভিযোগ উঠেছিল সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে। সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা সরঞ্জাম সরবরাহের বরাত পাইয়ে দেওয়ার বিনিময়ে, সাপ্লায়ারের খরচে বেআইনিভাবে দুবাই সফরের অভিযোগ উঠেছিল তাঁর বিরুদ্ধে। সন্দীপ ঘোষ ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজে থাকাকালীন কোনও অনিয়ম হয়েছিল কিনা জানতেই এদিন জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।
আরও পড়ুন: RGKar Protest: আর জি কর-কাণ্ডে বিচার চেয়ে পোস্ট, হোমগার্ডের চাকরিতে 'কোপ'