কলকাতা: আর জি কর-কাণ্ডে (RGKar Protest) বিচার চেয়ে ভিডিও পোস্ট, চাকরিতে 'কোপ'। ব্যারাকপুর পুলিশে কর্মরত অস্থায়ী হোমগার্ডকে বসিয়ে দেওয়ার অভিযোগ। হাইকোর্টের দ্বারস্থ বেলঘরিয়া থানার অস্থায়ী হোমগার্ড কাশীনাথ পাণ্ডা।
চাকরিতে 'কোপ': গত ৯ অগাস্ট আরজি করের সেমিনার হল থেকে উদ্ধার হয় নির্যাতিতা চিকিৎসকের দেহ। এরপর গত ২১ অগাস্ট আর জি কর-কাণ্ডে বিচার চেয়ে ফেসবুকে ভিডিও পোস্ট করেন হোমগার্ড। কোনও কারণ না দেখিয়েই চাকরি থেকে বসিয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে হোমগার্ডের বিরুদ্ধে। হোমগার্ডের অভিযোগ, ভিডিও পোস্টের পর নানাভাবে হুমকি দেওয়া হচ্ছিল। হেনস্থা ও মানসিক নির্যাতন করছেন পুলিশ কর্তারা।' ১৮ অক্টোবর হাইকোর্টে মামলার পরবর্তী শুনানি। ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেট সূত্রে খবর, গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
আর জি কর মেডিক্যালে চিকিৎসককে খুন-ধর্ষণের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত একজন সিভিক ভলান্টিয়ার। আর সেই নৃশংসা ঘটনার প্রতিবাদ করেই সোশাল মিডিয়ায় গান পোস্ট করেছিলেন, বেলঘরিয়া থানার অস্থায়ী হোমগার্ড কাশীনাথ পাণ্ডা। তাঁকে কাজ থেকে বসিয়ে দেওয়ায়, কলকাতা হাইকোর্টেও দ্বারস্থ হয়েছেন হাওড়ার ডোমজুরের বাসিন্দা কাশীনাথ। আগামী ১৮ অক্টোবর এই মামলার শুনানি। তাঁর অভিযোগ, "অগাস্ট মাসের ২১ তারিখ আমি একটা তিলোত্তমার ব্যাপার নিয়ে পোস্ট করি। মা কালীর একটা গান গাই। তার সঙ্গে একটা গান আমি নিজের লেখা একটু জুড়ে দিই। আমাকে থ্রেট দেওয়া হত, হেনস্থা করা হচ্ছিল। অফিসার ইনচার্জ ও তার কর্মীরা...শেষমেশ ১০ তারিখ আমাকে কাজ থেকে বসিয়ে দেওয়া হয়।''
গতকাল পুজো কার্নিভাল থেকে আটক করা হয় কলকাতা পুরসভার চিকিৎসক তপোব্রত রায়কে। ছাড়া পেয়ে স্বমহিমায় ফেরেন তাঁর কর্মক্ষেত্রে। তবে বুক থেকে খোলেননি সেই ব্যাজ। তপব্রত রায়ের পাশে দাঁড়ালেন কলকাতা পুরসভার অন্যান্য চিকিৎসকরাও। এই নিয়ে বুধবার কলকাতা পুরসভায় একটি বৈঠক হয়। যে বৈঠকে চিকিৎসকদের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন পুরসভার স্বাস্থ্য উপদেষ্টাও। বৈঠক শেষে পুরসভার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিককে একটি দাবিপত্রও মেল করেন চিকিৎসকরা। নিজের অবস্থানে অনড় রইলেন চিকিৎসক তপোব্রত রায়।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।
আরও পড়ুন: Doctor Protest: থানার সামনে বিক্ষোভ, 'আটক' চিকিৎসককে ছাড়তে বাধ্য হল পুলিশ