আবীর দত্ত, কলকাতা : বিরূপাক্ষ বিশ্বাস। এই নাম এখন অনেকেরই জানা। সন্দীপ ঘোষের ঘনিষ্ঠ। অভিযোগ, মেডিক্যাল কলেজগুলিতে থ্রেট কালচারের অন্যতম মাথা। ইতিমধ্যেই আর জি কর মেডিক্য়ালের যে সেমিনার হল থেকে চিকিৎসকের মৃতদেহ উদ্ধার হয়, সেই সেমিনার হলের ভাইরাল ছবির ভিত্তিতে চিকিৎসক-সংগঠন ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন প্রশ্ন তোলে, ওই দিন কি ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন চিকিৎসক বিরূপাক্ষ বিশ্বাস? যদিও, বিরূপাক্ষ দাবি করেন, ওই দিন আর জি কর মেডিক্য়ালে গেলেও তিনি সেমিনার হলে যাননি। চিকিৎসক বিরূপাক্ষ বিশ্বাসকে সাসপেন্ড করেছে স্বাস্থ্য ভবন ও রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে উঠেছে, বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে টাকা নিয়েছেন তিনি। যাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে CBI । সেই বিরূপাক্ষকে এবিপি আনন্দ জিগ্যেস করে, চিকিৎসক মহলের অভিযোগ স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে ভয়ের বাতাবরণ তৈরিতে আপনি নাকি অন্যতম হোতা ! বিরূপাক্ষর নির্লিপ্ত জবাব, 'যত মেডিক্যাল কলেজ আছে সেখানে কোথাও আমার সম্পর্কে অভিযোগ নেই।' সেই সঙ্গে তাঁর দাবি, এগুলো সবই একটা হোয়াটস্যাপ চ্যানেলের প্রোপাডান্ডা। সেখানে একটা ফ্লো চার্ট তৈরি করা হয়েছে। সেখানে বেছে বেছে সব প্রো গভর্নমেন্ট যারা, তাদের টার্গেট করা হয়েছে। '
বিরূপাক্ষর দাবি, 'সাগর দত্ততে এমবিবিএস, আর আমি বর্ধমান এম ডি করেছি। একটা কলেজ থেকে তো কোনও অভিযোগ নেই।' তাঁর ধারণা, তিনি শাসক দলের পক্ষে বলেই টার্গেট হচ্ছেন। কিন্তু দেহ-উদ্ধারের দিন বর্ধমান মেডিক্যালের তৎকালীন চিকিৎসক আরজি কর গেলেন কেন ? তাঁর দাবি, কাউন্সিলের সদস্য হিসেবেই সেই সময় গিয়েছিলেন আরজি করে।
বিরূপাক্ষ বিশ্বাসের বিরুদ্ধে চিকিৎসক - পড়ুয়াদের ভুরি ভুরি অভিযোগ। পরীক্ষায় বসতে না দেওয়ার হুমকি, 'ফেল করিয়ে দেব, শাসক দলের এক নেতার মত হাল হয়ে যাবে ', ইত্যাদি বলে ভয় দেখানোর অভিযোগ আছে তাঁর ভিডিও। ভাইরালও হলেছে অডিও ক্লিপ। যদিও বিরূপাক্ষর দাবি, এসবই মিথ্যে। তাঁর কাউকেই ফোন করার প্রয়োজন হয় না। আর এগুলো তাঁর কানে কিছুই আসেনি, বলে দাবি তাঁর। তাহলে তাঁকে মেডিক্যাল কাউন্সিল এথিক্স কমিটি থেকে সরাল কেন? বিরূপাক্ষর দাবি, সরকার যা করবে মাথা পেতে নিতে হবে। তবে থ্রেট কালচার বলে সত্যিই কিছু নেই ।
বিরূপাক্ষ বিশ্বাস আর জি কর মেডিক্যালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত। একসঙ্গে একাধিক জায়গায় তাঁদের উপস্থিতির একগুচ্ছ ছবি সামনে এসেছে। অথচ সেই বিরূপাক্ষ বিশ্বাসের দাবি, ৯ অগাস্ট আর জি কর মেডিক্যালে গেলেও, তাঁর না কি সন্দীপ ঘোষের সঙ্গে কথাই হয়নি!।
চাপের মুখে প্রথমে বিরূপাক্ষ বিশ্বাসকে সাসপেন্ড করে স্বাস্থ্যভবন। এরপর বিরূপাক্ষ বিশ্বাস-সহ ৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেছে কলকাতা পুলিশ।
আরও পড়ুন: RG Kar News: আরজি কর কাণ্ড নিয়ে 'শর্ট ফিল্ম', দলের রোষে পড়ে TMCP থেকে সাসপেন্ড রাজন্যা-প্রান্তিক
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।