আবির দত্ত ও সন্দীপ সরকার, কলকাতা : আরজি কর মেডিক্য়ালের নিহত চিকিৎসক কি কারও চক্ষুশূল হয়ে উঠেছিলেন ? এবিপি আনন্দকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এনিয়ে বিস্ফোরক দাবি করলেন আরজি কর হাসপাতালেরই ইন্টার্ন চিকিৎসক সারিফ হাসান। তাঁর দাবি, ওই তরুণী চিকিৎসক বেশি কাজ করতে পছন্দ করতেন, যা নিয়ে অনেকেই অভিযোগ করেছিল। এর আগে এক ব্য়ক্তি মত্ত অবস্থায় সেমিনার হলে ঢুকেছিলেন বলেও দাবি করেছেন তিনি। কিনতু, তার প্রেক্ষিতে কী ব্য়বস্থা নেওয়া হয়েছিল? জানেন না কেউ।
আর জি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদে, জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলন যখন গোটা শহরের চোখ টানছে, তখনই আর জি কর মেডিক্য়ালের অন্দরের অবস্থা নিয়ে সামনে এল, চাঞ্চল্য়কর তথ্য় ! এবিপি আনন্দকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে, একের পর এক বিস্ফোরক দাবি করলেন, সেখানকারই এক ইন্টার্ন। যিনি আবার তৃণমূল ছাত্র পরিষদের আর জি কর মেডিক্য়াল কলেজের ইউনিটের সহ সভাপতি। উত্তরবঙ্গ লবির অন্য়তম সদস্য় !ধর্ষণ, খুনের ঘটনা সামনে আসার পর থেকেই, বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠেছে, ওই তরুণী চিকিৎসক কি কোনও কারণে রোষের মুখে পড়েছিলেন?
তিনি কি কারও চক্ষুশূল হয়ে উঠেছিলেন ? এ প্রসঙ্গেই এবার চাঞ্চল্য়কর দাবি করলেন TMCP-র নেতা ও আর জি কর মেডিক্য়াল কলেজের ইন্টার্ন সারিফ হাসান। তিনি বললেন, 'একটু দিদি বেশি কাজ করতে পছন্দ করত। ওটা নিয়ে অনেকেই দিদির নামে অভিযোগ করেছিল বিভিন্ন জায়গায়। যতদূর সম্ভব, দিদির নীচে যে জুনিয়ররা আছেন, তাঁরা। বিভাগীয় প্রধানের কাছে করা হয়েছিল।'
প্রথমবার ক্য়ামেরার সামনে আর জি কর মেডিক্য়ালের ইন্টার্ন সারিফ হাসান। সারিফকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে CBI। বিস্ফোরক সাক্ষাৎকারে চাঞ্চল্য়কর খোলসা। তিনি বললেন, 'একবার, হয়ে গেল দেড় মাস আগে, একই রকম একটা মত্ত ব্যক্তি চেস্টের সেমিনার রুমে ঢুকেছিল। তো তারপরে কী অ্যাকশন নেওয়া হয়েছে, আমরা কেউই এখনও পর্যন্ত জানি না। ওই জিনিসগুলো যদি তখন আটকানো যেত, তাহলে তো এত বড় এখন ঘটনাটা হত না।'
কিন্তু তখন তো প্রিন্সিপাল হিসেবে সন্দীপ ঘোষ তাঁর দায়িত্ব ছিল। তিনি তখন সেই ব্য়বস্থাটা নিলেন না কেন, বা কী কারণে এটা নেওয়া হল না? আপনারা অভিযোগ করেছিলেন? এবিপি আনন্দের প্রতিনিধির এই প্রশ্নের উত্তরে সারিফ হাসান বললেন, 'আমরা অভিযোগ করেছিলাম। ডিপার্টমেন্ট থেকেও অভিযোগ করা হয়েছিল। এই বিষয়টা তো সিবিআই দেখছে যে, কী তখন অ্যাকশন নেওয়া হয়েছিল। আর যদি নাও নেওয়া হয়, তো কেন নেওয়া হয়নি, কার কথায় নেওয়া হয়নি, বা কে জানায়নি - এগুলো সিবিআই তদন্ত করছে। এগুলো সবই সিবিআই তদন্তের মধ্যে আছে।'
নিহত চিকিৎসকের তাঁর ডিপার্টমেন্টে কোনও সমস্য়া হচ্ছিল কিনা তা খতিয়ে দেখতে চেস্ট মেডিসিনের দুই পোস্ট গ্র্য়াজুয়েট ট্রেনিকে বুধবার ডেকে পাঠিয়েছে CBI।