কলকাতা: সাংসদ পদ ও দল ছাড়ার ঘোষণার পর প্রথমবার এবিপি আনন্দের মুখোমুখি তৃণমূলের বিদ্রোহী সাংসদ জহর সরকার (Jawhar Sircar On RG kar Case)। আর জি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে স্বতঃস্ফূর্ত আন্দোলন হচ্ছে। মানুষ সরকারের উপর বীতশ্রদ্ধ। মন্তব্য জহর সরকারের।


সাংবাদিক:  মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দু পাতার চিঠি লিখে সাংসদ পদ ছাড়ার ঘোষণা করেছেন জহর সরকার। তারপর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আর্জিও প্রত্যাখ্যান করেছেন। নিজের সিদ্ধান্তে অটল আছেন, জহর সরকার। সর্বশেষ কী সিদ্ধান্ত, কীভাবে এই পদত্যাগ পত্র অফিশিয়ালি জমা দেবেন ?


জহর সরকার: দিয়েছি। তারপর উনি আমায় অনেক বছর ধরে চেনেন। নিজেই ডেকে নিয়েছিলেন। নিজেই বললেন, দেখুন আপনি তো ভালই করেছেন। কিন্তু হঠাৎ একটা জিনিস নিয়ে, এরকম আবেগ করছেন কেন ? আমি তখন আমার দিকটা বললাম। আপনাকে যেই বুঝিয়ে থাকুক, পুরোটা রাজনৈতিক  একটা সংগ্রাম। যেটাকে রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করা উচিত। আমি কিন্তু এটাতে একমত হতে পারছি না। এটার মধ্যে রাজনীতি আছে। একটা গন্ডোগোল হবে, রাজনীতি ঢুকবে না, তাই কখনও হয় ?! আমি দেখেছি যে, প্রোটেস্টটা চলছে বা যে উত্তেজনা চলছে.. আমি সেটা আর বলিনি যে, আমি মাঝে ওদের মধ্যে থেকে, ওদের মধ্যে হেঁটে দেখেছি বা কথা বলে দেখেছি। আমি যেটা বুঝতে পারছি, এটা স্বতঃস্ফূর্ত ব্যাপারটাই সবচেয়ে বেশি।  কখনও রিকশওয়ালারা করছে, কখনও সুইগি-র ছেলেরা করছে, কখন কলেজের ছাত্ররা, কখনও চিকিৎসকেরা, কখনও স্কুল ছাত্রের অভিভাবকেরা করছে। এখন জিনিসটা এমন একটা জায়গায় ছড়িয়ে গিয়েছে যে, সবাই এর মধ্যে সামিল হতে চাইছে।একজন সমাজ বিজ্ঞানের ছাত্র হিসেবে আমার প্রশ্ন, কেন ? একটা হচ্ছে অভয়া বলুন, বা তিলোত্তমা বলুন, যে নামেই বলুন, তার কথা তো আছেই। তবে অভয়া-তিলোত্তমা ছাড়াও রাজ্য সরকারের উপর কীরকম যেনও বীতশ্রদ্ধ হয়ে গিয়েছে সাধারণ মানুষ। এটা অস্বীকার করলে কিন্তু যারা চালাচ্ছে , তাঁরা ভুল করছে। 


সাংবাদিক : ২৯ টি সিট নিয়ে পার্লামেন্টে এসেছে, তারপর বীতশ্রদ্ধ কেন ?


জহর সরকার: না, এই তো কদিন আগে এল। কিন্তু একট কীরকম যেনও সুযোগ খুঁজছিল লোকে, বোঝার জন্য। যে আমরা আপনাকে ভোট দিচ্ছি কারণ আমরা বিজেপি তে বিশ্বাস করি না। বিজেপি আরও ভাল ভোট পায়, কিন্তু সেই ভোট অনেকখানি নেগেটিভ ভোট। যারা পছন্দ করে না।এখন কে ৩৮ পেল, কে ৪৮, তার বিচার করার সময় এখন নেই। এখন দেখা যাচ্ছে, সাধারণ মানুষের চেপে রাখা ক্ষোভ বেরিয়ে এসেছে।.. এক মাস ধরে বলে যাচ্ছি।


সাংবাদিক : কাকে বলেছেন ?


জহর সরকার:  সেগুলি আমি বলবা  না। বড় নেতাদের বলেছি, মেসেজ পাঠিয়েছি। কোনও কারণে উনি একবার চিন্তা করে দেখুন, জহর সরকার তো কোনও রাজনৈতিক স্বার্থ নিয়ে বলেনি। সিবিআই এর জিনিসটাকে খুব সিরিয়াসলি নিতে হবে। দুই, রাজ্য সরকারের সম্পূর্ণ কোঅপারেশন করতে হবে। লোকের সামনে বোঝাতে হবে। যদি কোনও ভুল হয়ে থাকে, ভুলের শাস্তি দিতে হবে। কে বলেছিল সুইসাইড, তাকে কে অথরিটি দিয়েছিল, তাঁকে আগে সাসপেন্ড করো, ফলস ক্রিমিনাল কেস করো, তারপর কথা। জোর গলায় জোর মাপের অ্যাকশন , তারপর কথা।


সাংবাদিক : পুলিশ কমিশনার ?


জহর সরকার: পুলিশ কমিশনার ছেলেটি খারাপ নয়। কী কেন কোন বুদ্ধি গিয়ে এরকম কাজ করল, চালু নয় এক নম্বর। আর কমিউনিকেশনটা ভাল পারে না।  


আরও পড়ুন,  কয়লা পাচার মামলায় সুপ্রিম কোর্টে ধাক্কা খেলেন অভিষেক, 'দিল্লিতে তলব করায় ED-র বাধা রইল না..'


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।