সন্দীপ সরকার, কলকাতা : 'জুনিয়র ডাক্তারদের আমরণ অনশন চলছে, অনশনরত চিকিৎসকরা অসুস্থ হয়ে পড়ছেন' এই পরিস্থিতিতে অত্যন্ত উদ্বেগ প্রকাশ করে আগেই প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়ে আই এম এ - র পশ্চিমবঙ্গ শাখা। 'সমগ্র চিকিৎসক সমাজকে চিন্তিত ও আশঙ্কিত করে তুলেছে' বলে বার্তা দেওয়া হয় সংগঠনের তরফে। এবার একেবারে চিঠি এল সরাসরি সর্বভারতীয় চিকিৎসক সংগঠন আইএমএ থেকে।
চিঠিতে জুনিয়র ডাক্তারদের লাগাতার অনশনে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে আইএমএ। মুখ্যমন্ত্রীকে দেওয়া চিঠিতে জুনিয়র চিকিৎসকদের আন্দোলনকে সমর্থন করে গুরুত্বপূর্ণ বার্তা দেওয়া হল। প্রায় এক সপ্তাহ ধরে আমরণ অনশন করছেন। IMA তাঁদের ন্যায্য দাবিগুলি সমর্থন করে। রাজ্য সরকার সমস্ত দাবি পূরণে সক্ষম, অবিলম্বে হস্তক্ষেপ প্রয়োজন। বার্তা দেওয়া হল আইএমএ-র তরফে।
সর্বভারতীয় চিকিৎসক সংগঠন জানিয়েছে, ' শান্তিপূর্ণ পরিবেশ এবং নিরাপত্তা কোনও বিলাসিতা নয়, এটা পূর্ব শর্ত। সরকারের প্রধান এবং বয়োজ্যেষ্ঠ হিসেবে আপনার কাছে বিষয়টি মেটাতে উদ্যোগী হওয়ার আবেদন জানাচ্ছি। গোটা দেশের চিকিৎসক সমাজ উদ্বিগ্ন। আমাদের বিশ্বাস, জুনিয়র ডাক্তারদের জীবন বাঁচাতে আপনি সচেষ্ট হবেন। IMA এর জন্যে সবরকম সহযোগিতা করতে প্রস্তুত।'
এর আগে আইএমএ বেঙ্গল শাখার তরফে জানানো হয়েছে, 'প্রশাসন বাড়তি উদ্যোগ নিয়ে অনতিবিলম্বে সমাধানে সচেষ্ট হোন। না হলে চরম পদক্ষেপ নেওয়া ছাড়া চিকিৎসক সমাজের আর কোনও উপায় অবশিষ্ট থাকবে না'
গত শনিবার রাত সাড়ে ৮টা থেকে ধর্মতলায় মেট্রো চ্যানেলের সামনে আমরণ অনশনে বসেন জুনিয়র ডাক্তাররা। প্রথমে ৬ জন যোগ দিয়েছিলেন অনশনে। পরে সপ্তম জন যোগ দেন, তিনিই অনিকেত মাহাতো। তিনিই একমাত্র আরজি কর মেডিক্যালের চিকিৎসক - পড়ুয়া। বৃহস্পতিবারই শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় রাতে আর জি কর হাসপাতালে ভর্তি করা হয় অনশনরত অনিকেত মাহাতোকে। তিনি এখন ক্রিটিক্যাল কেয়ারে ভর্তি। তাঁর শারীরিক অবস্থা দেখে আরও জোরদার আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। মহাষ্টমীর সন্ধেয় ধর্মতলার অনশন মঞ্চে মহা সমাবেশের ডাক দিলেন তাঁরা। এই সমাবেশে সাধারণ মানুষকেও যোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টর্স ফ্রন্ট। সমাবেশের পর বিভিন্ন জায়গায় বিলি করা হবে জুনিয়র ডাক্তারদের ১০ দফা দাবি-সম্বলিত লিফলেট। পুজো মণ্ডলে স্লোগান দেওয়ার অভিযোগে ধৃত ৯ জনের পরিবারের পাশে থাকার বার্তা দিতে শুক্রবার তাঁদের বাড়িতে যাবেন জুনিয়র ডাক্তাররা। সোদপুরে নিহত চিকিৎসকের বাড়ির সামনে ধর্নায় বসেছেন মা-বাবা। আজ সেখানেও যাবেন জুনিয়র ডাক্তাররা।