কলকাতা: এবার আর জি কর মেডিক্যালে চিকিৎসক-অধ্যাপকদের গণ ইস্তফা। কিঞ্জল নন্দ স্পষ্ট জানিয়েছেন,'আর জি কর মেডিক্যালের অধ্যক্ষকে নবান্নে ডেকে পাঠানো হয়েছে। নবান্ন থেকে বিরূপ প্রতিক্রিয়া এলে, আরও বৃহত্তর আন্দোলন। আশা করব সদর্থক ভূমিকা নেবে রাজ্য সরকার।'


এদিন সিনিয়র ফ্যাকাল্টিদের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানালেন জুনিয়র ডাক্তাররা। বললেন, 'আর জি কর মেডিক্যালের সিনিয়র ডাক্তাররা গণইস্তফার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। থ্রেট কালচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছে আর জি কর মেডিক্যাল। আর যাতে কোনও আর জি কর না হয় তার জন্য এই অনশন। সাড়ে ৩ বছরে আর জি কর মেডিক্যালে ভয়ঙ্কর পরিবেশ তৈরি হয়েছিল। ১০ দফা দাবিতে ৭ জুনিয়র ডাক্তারদের আমরণ অনশন।'


এ বছর আর আলো জ্বলবে না সেই বাড়িতে। বাজবে না ঢাক। তবে, বিচারের দাবিতে, ষষ্ঠী থেকে বাড়ির সামনে ধর্নায় বসছেন আরজি কর মেডিক্য়ালের নিহত তরুণী চিকিৎসকের বাবা-মা। তাঁদের অডিও বার্তা প্রত্য়েক পুজো মণ্ডপে চালানোর আর্জি জানিয়েছে জয়েন্ট প্লাটফর্ম অফ ডক্টর্স।  পুজো এলেই আলো ঝলমলে হয়ে উঠত বাড়িটা। বেজে উঠত ঢাক। উৎসব-আনন্দে মেতে উঠত সক্কলে। কিন্তু, ৯ অগাস্ট, আর জি কর মেডিক্যাল কলেজে যে ভয়ঙ্কর নারকীয় ঘটনা ঘটেছে, তারপর বদলে গেছে সব কিছু। তরুণী চিকিৎসকের মৃত্য়ুর সঙ্গে সঙ্গে, তাঁর বাড়িটাও যেন প্রাণহীন হয়ে পড়েছে। সেখানে এখন শুধুই অন্ধকার।


এবছর বাড়িতে পুজোমণ্ডপ তৈরি না হলেও,বাড়ির বাইরে বাঁধা হচ্ছে মঞ্চ।  ষষ্ঠী থেকে চার দিন এখানেই ধর্নায় বসবেন নিহত তরুণী চিকিৎসকের বাবা-মা। নিহত চিকিৎসকের মা বলেন,'এখানে লোকজন সব ভর্তি থাকত, আলোয় গমগম করত... আমারও সেরকমই থাকব।'নিহত তরুণীর বাবা বলেন,আমাদের পরিবারের। আমরা কাউকে আমন্ত্রণ করিনি। আমরা কাউকে বলিনি। যদি কেউ আসলে আসবে। তবে মঞ্চে আসতে পারবেন না। নীচে জায়গা থাকবে, বসতে পারবেন। 


আরও পড়ুন, স্বাস্থ্য ভবনকে হুঁশিয়ারি কলকাতা মেডিক্যালের চিকিৎসকদের, 'ক্ষোভ বাড়ছে, সদর্থক ভূমিকা না নিলে..'


(খবরটি সম্প্রতি ব্রেক করা হয়েছে। বিস্তারিত কিছুক্ষণ পরই দেওয়া হচ্ছে। একটু পরে রিফ্রেশ করুন। জেলা থেকে শহর, দেশ, বিদেশ, বিনোদন থেকে খেলা, বিজ্ঞান থেকে প্রযুক্তি সহ অন্যান্য সমস্ত খবরের আপডেটের জন্য দেখতে থাকুন এবিপি আনন্দ ও এবিপি লাইভ)


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।