কোচবিহার: ৪ অগাস্ট রাত দখলের কর্মসূচিতে হামলার অভিযোগ। তৃণমূলের শহর ব্লক সভাপতির সামনেই মারধর করা হয় আন্দোলনকারীদের।
প্রতিবাদে মাথাভাঙা শহরে শুভেন্দুর নেতৃত্বে মিছিল বিজেপির। 'পুলিশ না থাকলে এদের চামড়া তুলে ডুগডুগি বাজাতে এক মিনিটও সময় লাগবে না',, তৃণমূলকে হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর।
এদিন শাসকদলকে কটাক্ষ করে শুভেন্দু বলেন, 'চুরি করে পঞ্চায়েত পুরসভা দখল করেছি। ডাকাতি করে নিশীথকে হারিয়ে দিয়েছি, তার মানে বিরোধীরা শেষ হয়ে গিয়েছে ? বিরোধীরা শেষ হয়নি, আজকে মাথাভাঙাতে ট্রেলর দেখিয়ে দিয়ে গেলাম। সিনেমা এর পরের বারে এলে দেখাব। আমি তো চ্যালেঞ্জ দিয়ে বলি, পুলিশ বাবা পার করেগা। পুলিশ যদি এদের কাছে না থাকে না, এদের চামড়া তুলে ডুগডুগি বাজাতে কোচবিহারের লোকের এক মিনিটও সময় লাগবে না। আমার হোয়াটসআপ নাম্বার তো সবাই জানে। তৃণমূলের এক বেয়াদপ আমাকে সকাল বেলা মেসেজ করেছেন, বেশি কর সিকিউরিটিকে নিয়ে আসবেন..', বলতে বলতে তুলোধনা করেন তিনি।
সম্প্রতি রাষ্ট্রপতিকে চিঠি লেখেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলের কাছ থেকে ফিরিয়ে নেওয়া হোক পুলিশ মেডেল। আর জি কর-কাণ্ডের তদন্তে পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলের নিন্দনীয় ও লজ্জাজনক ভূমিকার অভিযোগ তুলেছেন শুভেন্দু। তথ্যপ্রমাণ লোপাট ও হাসপাতালে হামলার ঘটনায় CP-র ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন।বিরোধী দলনেতার অভিযোগ, তাঁর রাজনৈতিক প্রভুর স্বার্থে তদন্তে অন্তর্ঘাতের চেষ্টা করেছেন পুলিশ কমিশনার। এই সম্মানের যোগ্য তিনি নন, রাষ্ট্রপতিকে চিঠি দিলেন শুভেন্দু অধিকারী। এই
বিষয়ে হস্তক্ষেপ চেয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকেও চিঠি লিখেছেন বিরোধী দলনেতা।
আরও পড়ুন, সন্দীপ ঘোষ সহ ৪ ধৃতকে হেফাজতে চাইল না CBI
ধর্ষণ-খুনের পর তাড়াহুড়ো করে দাহ করে ফেলা হয় আর জি কর মেডিক্যালের চিকিৎসকের দেহ। সোশাল মিডিয়ায় এই অভিযোগে সরব হলেন শুভেন্দু অধিকারী। পোস্টে বিরোধী দলনেতা লেখেন, শ্মশানে গোটা অপারেশনটি হয়েছে পুলিশের তত্ত্বাবধানে। অতি দ্রুততার সঙ্গে দেহ পুড়িয়ে ফেলা হয়।মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন পানিহাটির বিধায়ক নির্মল ঘোষ। চিকিৎসকের দেহ দাহ করা হয় ব্যারাকপুর কমিশনারেট এলাকায়। অথচ আশ্চর্যজনক ভাবে গোটা বিষয়টির তত্ত্বাবধানে ছিলেন DC নর্থ অভিষেক গুপ্ত।তাঁর সঙ্গে ছিলেন কলকাতা পুলিশের দুই IC. পুরো অপারেশনটি নজরে রেখেছিলেন রাজ্য পুলিশের DG. এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত প্রত্যেকের ভূমিকা খতিয়ে দেখা হোক। তাহলেই হয়তো ধামাচাপা দেওয়ার কারণ প্রকাশ্যে আসবে। সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করে CBI-এর কাছে আবেদন জানান শুভেন্দু অধিকারী।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।