কলকাতা: আর জি কর কাণ্ডে ধৃত সন্দীপ ঘোষ এবং অভিজিৎ মণ্ডলের জামিনের আর্জি খারিজ করে তাৎপর্যপূরণ মন্তব্য শিয়ালদা আদালতের। আদালত জানিয়েছে, যে গুরুতর অভিযোগ রয়েছে তাঁদের বিরুদ্ধে, তা প্রমাণিত হলে বিরলতম অপরাধ হিসেবে সর্বোচ্চ সাজা হতে পারে। তাই এখন জামিন মঞ্জুর করা হলে, তা বিচারের নামান্তর হবে। পাশাপাশি, রুদ্ধদ্বার শুনানির যে আবেদন জানিয়েছিল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা (CBI), তা-ও খারিজ করে দিল শিয়ালদা আদালত। খোলা আদালতেই শুনানি হবে বলে জানানো হয়েছে।(RG Kar Case)


সন্দীপ এবং অভিজিতের জামিনের আবেদন গতকালই খারিজ হয়ে যায়। আদালতে সন্দীপ এবং অভিজিতের আইনজীবী সওয়াল করেন যে, এখনও পর্যন্ত খুন বা ধর্ষণে সরাসরি তাঁদের সংযোগ পাওয়া যায়নি। তেমন কোনও প্রমাণ পেশ করতে পারেনি CBI. কিন্তু আদালত নির্দেশনামায় বলে, "এই ধরনের গুরুতর মামলা প্রমাণিত হলে, মৃত্যুদণ্ডও হতে পারে। বিরলতম ঘটনা বলে প্রমাণিত হলে, তা অবিচার করা হবে।" এর পর আর জি কর মেডিক্যালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ ও টালা থানার প্রাক্তন OC-র জামিনের আবেদন খারিজ করে দেন শিয়ালদা আদালতের বিচারক। (Kolkata News)


অন্য দিকে CBI-এর দাবি ছিল, মামলার সমস্ত তথ্য বাইরে চলে যাচ্ছে। তাই রুদ্ধদ্বার আদালত কক্ষে মামলার শুনানি হোক। কিন্তু আদালত সেই আবেদন খারিজ করে দেয়। আদালতের বক্তব্য, "এই মামলার স্বচ্ছতা, স্পষ্টতা, শুদ্ধতা ও বিচার বিভাগের মর্যাদা বজায় রাখতে খোলা আদালতে শুনানি হওয়া প্রয়োজন।"


নয় নয় করে দেড় মাস পেরিয়ে গেলেও আর জি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনায় এখনও তদন্ত চলছে। অভিযোগ, পাল্টা অভিযোগের পালা চলছে রাজ্য রাজনীতিতেও। রাজ্য বিজেপি-র সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের দাবি, আর জি কর কাণ্টে তথ্যলোপাটের ভরকেন্দ্র ছিল টালা থানাই। ধৃত অভিজিৎকে চাপ দিয়ে তৃণমূল নেতৃত্ব প্রমাণ লোপাট করিয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন এবং এখন তাঁকে বলির পাঁঠা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন সুকান্ত। এই ঘটনায় পুলিশ ও প্রশাসনের উচ্চপর্যায়ের আধিকারিকরা যুক্ত রয়েছেন বলেও দাবি করেছেন তিনি।


এই মুহূর্তে প্রেসিডেন্সি জেলের হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন অভিজিৎ। সূত্রের খবর, শিয়ালদা আদালত থেকে গতকাল জেলে ফেরার পর অসুস্থ বোধ করেন অভিজিৎ। স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর প্রাক্তন OC-কে প্রেসিডেন্সি জেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আদালত থেকে বের করে প্রিজন ভ্যানে তোলার সময়, হোঁচট খেয়ে পড়ে যাচ্ছিলেন টালা থানার প্রাক্তন OC. সেই সময় একজন পুলিশ কর্মী তাঁকে ধরে ফেলেন। এরপর জেলে ফিরে হাসপাতালে ভর্তি হন টালা থানার প্রাক্তন OC অভিজিৎ।