মনোজ বন্দ্যোপাধ্যায়, পশ্চিম বর্ধমান: পুজোর মুখে বন্যায় ভাসছে দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলা। এই পরিস্থিতিতে সাগরে ফের ঘূর্ণাবর্তের ভ্রুকুটি। ফের টানা বৃষ্টি পূর্ব মেদিনীপুর, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম, হুগলি জেলায়। শুক্রবার পর্যন্ত ভারী বৃষ্টির সতর্কতাও রয়েছে। 


এদিকে, দু’দিন ধরে টানা বৃষ্টি। ফলে ফের DVC-র মাইথন ও পাঞ্চেত জলাধার থেকে জল ছাড়া হয়েছে। মাইথন থেকে ১০ হাজার কিউসেক ও পাঞ্চেত থেকে ১২ হাজার কিউসেক জল ছেড়েছে DVC। সকাল ৮টার পর দুর্গাপুর ব্যারাজ থেকে ৩৬ হাজার ৫৫০ কিউসেক জল ছাড়া হচ্ছে।


এদিকে, DVC জল ছাড়ায় কংসাবতী, হলদি ও রূপনারায়ণে জল বাড়তে পারে। ফলে পূর্ব মেদিনীপুরের জনজীবন বিপর্যস্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। 


এর আগে টানা বৃষ্টিতে ডিভিসির ছাড়া জলে এখনও জলে ঢুবে দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলা। এরই মধ্যে ফের জল ছাড়াতে আরও কঠিন হতে পারে পরিস্থিতি এমনটাই আশঙ্কা। 


ম্যান মেড বন্যার তত্ত্ব খাড়া করে, বাংলাকে ভাসিয়ে দেওয়ার ষড়যন্ত্রের অভিযোগ করেছেন। সতর্ক না করে জল ছাড়ার অভিযোগে DVC-র সঙ্গে সম্পর্ক ছেদের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, নালিশ জানিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চিঠি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীকে।


আরও পড়ুন, পুজোর মুখে হাওড়ায় বন্ধ জুট মিল, কর্মহীন ৬০০ কর্মী


এদিকে, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এবং বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের দাবি, DVC যে পরিমাণ জল ছেড়েছে, সেই জলের জন্য পশ্চিমবঙ্গে বন্যা হয়নি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে পশ্চিমবঙ্গের বাঁধগুলি থেকে জল ছাড়ার জন্য পশ্চিমবঙ্গের বিস্তীর্ণ এলাকায় বন্যা হয়েছে। সেই জন্য লোকের ঘাড়ে তিনি দোষ চাপিয়ে বাঁচার চেষ্টা করছেন। যাতে আর জি কর থেকে মানুষের লক্ষ্যটা যেন বন্যা পরিস্থিতির দিকে চলে যায়।  


সুকান্ত মজুমদার এও বলেন, 'মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী DVC-র জল ছাড়া নিয়ে একের পর এক করে যাচ্ছেন। সেই বক্তব্যগুলো অসত্য। উনি নাকি কিছুই জানতেন না বা পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে কিছুই জানানো হয়নি DVC-র জল ছাড়া নিয়ে। কিন্তু ১৭ তারিখে ওঁরই পশ্চিমবঙ্গ সরকার, ওঁর নির্দেশে সমস্ত জেলাগুলোকে চিঠি দিয়েছে যে, DVC-র জল ছাড়বে, আপনারা প্রস্তুত হন।'                           


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে