প্রকাশ সিনহা, কলকাতা : আর জি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ খুনের মামলায় শেষ হল সাক্ষ্যগ্রহণ।  চার্জশিট দেওয়ার সময়, ১২৮ জন সাক্ষীর কথা উল্লেখ করা হয়েছিল। এর মধ্যে, ৫০ জনের তালিকা তৈরি হয়েছিল সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য। তাদের মধ্যে ৪৯ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ হল । 
সোমবার, প্রধান তদন্তকারী অফিসার সীমা পাহুজার সাক্ষ্যগ্রহণ হল।ল এবার, ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়ের বয়ান রেকর্ড হবে।


CBI-এর তদন্তকারীরা আশাবাদী, এই মাসের শেষের দিকে বা জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে গোটা প্রক্রিয়া শেষ হতে পারে এবং আদালত সাজা ঘোষণা করতে পারে। এদিকে গ্রেফতারির ৯০ দিনে, CBI চার্জশিট দিতে না পারায়, ধর্ষণ-খুনের মামলায় জামিন পেয়ে গেছেন টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডল এবং আর জি কর মেডিক্যাল কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ। যা নিয়ে ক্ষোভ ঝরে পড়েছে নিহত চিকিৎসকের মায়ের গলায়। শুধু তাই নয় প্রতিবাদে রাজপথে নেমেছে চিকিৎসকদের বিভিন্ন সংগঠন। জবাব চেয়ে পথে নেমেছে আইএসএফ, এসএফআই, কংগ্রেস। কেন্দ্রীয় এজেন্সির ভূমিকা নিয়ে একগুচ্ছ প্রশ্ন তুলে, সোমবার CGO কমপ্লেক্স অভিযানে যান রাত দখল আন্দোলনের অন্য়তম প্রধান মুখ রিমঝিম সিনহা।  সিবিআইয়ের তদন্তের গতিপ্রকৃতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন নিহত চিকিৎসকের মা-ও। অসহায় মায়ের জিজ্ঞাসা, এতদিন হয়ে গেল, CBI কী করল তাহলে? ওদের দু'জনকে ধরেছিল, তাও আবার ছেড়ে দিতে হল চার্জশিট না দিতে পারার জন্য়। তাহলে কি CBI-এর কাছে কিছুই নেই, এটাই ধরে নেমে মানুষ? কী তদন্ত করছে তাহলে তারা? তিনি আরও বলেন, হাসপাতাল থেকে ওর বন্ধুরা যে সমস্ত তথ্য আমাদের জানিয়েছে আমরা সবটা সিবিআই-কে দিয়েছি। তারপরও সিবিআই কি করে বলে কোনও কিছু নেই। আমাদের তো কথা শুনে একবারও মনে হয়নি সিবিআই কিছু পাচ্ছে না। আমি নাম না করে একজনের কথা বলতে চাই। তিনি বলছেন নির্যাতিতার বিচার না পাওয়ার জন্য বাবা মা দায়ী। হ্যাঁ আমি দায়ী এতে  কোনও সন্দেহ নেই। 


সিবিআইয়ের আইনজীবী জানিয়েছেন, আমরা সময় মতো চার্জশিট দেব। সঞ্জয় রায়ের বিচারপ্রক্রিয়া যেন প্রভাবিত না হয়, তাই নতুন করে চার্জশিট দেওয়া হয়নি।  


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে