কলকাতা: আরজিকর কাণ্ডে হাইকোর্টের নির্দেশের পর এই মুহূর্তে তদন্তে সক্রিয় ভূমিকায় সিবিআই। কলকাতা পুলিশের থেকে মামলা হস্তান্তরের পরেই দ্রুত বেগে এগোচ্ছে তদন্ত। RG কর হাসপাতালের ইমার্জেন্সি বিল্ডিংয়ে ভাঙচুর ও তাণ্ডবের ঘটনায় গ্রেফতারের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৩০ ।


আর জি কর মেডিক্যাল কলেজে ভাঙচুরের ঘটনায় ইতিমধ্যেই একাধিক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে কলকাতা পুলিশ। কিন্তু তাঁদের গ্রেফতারি নিয়ে চাঞ্চল্যকর দাবি করেছেন অভিযুক্ত পক্ষের আইনজীবী। তাঁর বক্তব্য, যাদেরকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তাঁরা নাকি হামলার সময় সেখানে ছিলেনই না। বুধবার মধ্যরাতে ৪০ মিনিট ধরে তাণ্ডব চলে আর জি কর মেডিক্যাল কলেজে। ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ইতিমধ্য়েই ১২ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। কিন্তু, অভিযুক্ত পক্ষের আইনজীবীর দাবি, যাঁদের পুলিশ ধরেছে তাঁরা ঘটনার সঙ্গে যুক্তই নয়। যেমন অভিজিৎ সাউ। (২৭) বুধবারের তাণ্ডবের ঘটনায় তাঁকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অভিজিৎ পেশায় ডাবিং আর্টিস্ট। বাড়ি গোয়াবাগান এলাকায়। 


প্রতিবেশীদের দাবি, বুধবার রাতে তিনি শ্য়ামবাজারে মিছিলে যোগ দিয়েছিলেন। ভিডিও করছিলেন। তখনই পুলিশ এসে তাঁকে ধরে নিয়ে যায়।ধৃত অভিজিৎ সাউয়ের প্রতিবেশী বলেছেন,শ্যামবাজার পাঁচমাথা মোড়ে গিয়েছিল অভিজিৎ সাউ। রাত তখন একটা সেই সময় শ্যামবাজারের মানুষের ভিড়ের ভিডিও করতে ব্যস্ত সে আচমকাই তাকে পুলিশ আটক করে বলে অভিযোগ প্রতিবেশীদের। প্রতিবেশীরা অভিযোগ করছেন অভিজিৎ সাউ নিতান্ত একটা ভালো ছেলে এবং সে কোন ধরনের কোন অশান্তির সাথে যুক্ত নয় তাকে ফাঁসানো হচ্ছে। 
 
একই দাবি করেছেন আরেক ধৃত শান্তনু ঘোষের পরিজনরাও।যিনি এবছর আইনে স্নাতক হয়েছেন।ধৃত শান্তনুর জ্য়েঠু   তরুণকুমার ঘোষ বলেন, ও কোনও রাজনীতিতে নেই। মিটিং মিছিলে যায় না। ডাবিং করে। হেঁটে খাবার আনতে গেছিল। একই অভিযোগ, মুক্তারামবাবু স্ট্রিটের বাসিন্দা, পেশায় ব্য়বসায়ী পল ঘোষেরও।গতকাল রাতে নিরাপত্তার দাবিতে রাস্তায় নামে, যোগ দিতে যায়। আর জি করে সামনে ছবি তোলে বলে পরিবারের দাবি। ধৃতের আত্মীয় বলেন, ও কোনও পার্টি করে না। গন্ডগোলে যায় না। কাল শুধু প্রতিবাদে গেছিল। বলল আসছি।তার পর থেকে ফোন ধরছে না। ধৃতের আত্মীয় বলেন, এই যে অবস্থা,আমরা সবটা দেখছি। সবাই বেরিয়েছে। ও ভুল করেছে। কারণ, ছবি তুলেছে বলে। একা ছিল। কী করেছে? ওকে ছোট থেকে বড় হতে দেখেছি। মধ্য়বিত্ত পরিবারের ছেলে। আমাদের কাছে ভাবনার বিষয়।  


আরও পড়ুন, 'RG Kar কাণ্ডে মৃত নির্যাতিতার পরিবারকে চাকরি দিন..', শাহকে চিঠি তৃণমূলের সুখেন্দুর


লালবাজারের তরফে দাবি করা হয়েছে, তদন্ত চলছে। বিষয়টি আদালতের বিচারাধীন। প্রত্য়েককেই গ্রেফতার করা হয়েছে স্পট থেকে। কোনও না কোনও ভূমিকা আছে বলেই এঁদের গ্রেফতার করা হয়েছে। এদিকে, পুলিশ যে ছবি পোস্ট করেছে, তার মধ্য়ে দেখা গেছে এই ২ যুবককে। 


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।