কলকাতা: বেআইনিভাবে বিপজ্জনক বায়োমেডিক্যাল বর্জ্য বিক্রি। জিম এবং নিজের চেম্বারের সৌন্দর্যায়নের জন্য কোভিড ফান্ডের অপব্যবহার। টাকার বিনিময়ে বেআইনিভাবে চিকিৎসক-অফিসারদের বদলি।অযোগ্যদের কাজের বরাত। সর্বোপরি কোটি কোটি সরকারি অর্থের অপচয়! আর জি কর মেডিক্যালের তৎকালীন অধ্য়ক্ষ সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে এরকমই ভুরি ভুরি অভিযোগ তুলে নানা জায়গায় অভিযোগ করেছিলেন প্রাক্তন ডেপুটি সুপার আখতার আলি।আর জি কর মেডিক্যালের প্রাক্তন অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে ১৫ রকমের অভিযোগের কথা উল্লেখ করেছিলেন আখতার আলি।


সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে আনা ১৫ রকমের অভিযোগের মধ্যে, যেখানে সরকারি অর্থের অপচয়, টেন্ডার না ডেকে সরকারি জায়গা খাবারের দোকান, ক্যাফে, ক্যান্টিন, সুলভ শৌচালয়ের জন্য বরাদ্দ করা, ভেন্ডার বাছাইয়ের ক্ষেত্রে স্বজন পোষণ. অযোগ্য়দের কোটি কোটি টাকার বরাত, ইচ্ছাকৃতভাবে আর্থিক নিয়ম এড়িয়ে যাওয়ার অভিযোগ করেন প্রাক্তন ডেপুটি সুপার আখতার আলি। রাজ্য সরকার এবং কলকাতা পুরসভাকে এড়িয়ে, বেআইনিভাবে ২ চাকার গাড়ি পার্কিং-এর বেনামি ব্যবসা, এমনকী, ভেন্ডারদের থেকে ২০% ঘুষ নেওয়ার মতো একের পর এক চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করেন প্রাক্তন ডেপুটি সুপার আখতার আলি। 


আর জি কর মেডিক্যালে এবার আর্থিক অনিয়মের মামলাতেও হাইকোর্টে ধাক্কা খেল রাজ্য় সরকার।চিকিৎসকের ধর্ষণ-খুনের পর, এবার সন্দীপ ঘোষের আমলের দুর্নীতির অভিযোগের তদন্তও CBI-এর হাতে তুলে দিল কলকাতা হাইকোর্ট। তিন সপ্তাহ পর তদন্তের স্টেটাস রিপোর্ট আদালতকে জানাতে হবে কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে, নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজ। যাঁর অভিযোগের প্রেক্ষিতে, হাইকোর্টের আজকের নির্দেশ, তিনি হলেন, আর জি কর মেডিক্য়াল কলেজ হাসপাতালেরই প্রাক্তন ডেপুটি সুপার, আখতার আলি।


আরও পড়ুন, ত্রিপুরায় ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতি, লাফিয়ে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা, ৪০ কোটি টাকা আর্থিক সহায়তা ঘোষণা শাহের


আর জি কর মেডিক্য়াল কলেজে চিকিৎসকের ধর্ষণ-খুন মামলায় ইতিমধ্য়েই সদ্য় প্রাক্তন অধ্য়ক্ষ সন্দীপ ঘোষকে লাগাতার ৮দিন জিজ্ঞাসাবাদ করেছে CBI। আর এবার RG কর মেডিক্য়াল কলেজে আর্থিক অনিয়মের মামলারও তদন্ত করবে এই কেন্দ্রীয় এজেন্সিই। অর্থাৎ জোড়া মামলায় এবার CBI 'স্ক্য়ানারে' সন্দীপ ঘোষ। কলকাতা হাইকোর্টের এই রায়ের আরও একটি তাৎপর্যপূর্ণ দিক হল এর ফলে আর রাজ্য় সরকারের তৈরি SIT আর্থিক অনিয়মের অভিযোগের তদন্ত করতে পারবে না। তাদের যাবতীয় নথি CBI-এর হাতে তুলে দিতে হবে। লিখিত নির্দেশনামায় কলকাতা হাইকোর্ট উল্লেখ করেছে,গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল উপযুক্ত তদন্তকারী সংস্থা কে। আরও নির্দিষ্ট করে বললে, তদন্ত SIT-এর হাতে থাকা উচিত, নাকি CBI-এর হাতে তুলে দেওয়া উচিত।এবিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে, মূল বিবেচ্য় বিষয় হল তদন্ত যেন সঠিকভাবে হয়।  


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।