কলকাতা: আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে এবার পথে নামলেন কলকাতা হাইকোর্টের আইনজীবীরাও। মিছিলে সামিল হয় আইনজীবীদের সব কটি সংগঠন। মিছিলে হাঁটলেন তৃণমূল সাংসদ, আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। একসঙ্গে হাঁটলেন আইনজীবী ফিরদৌস শামিম, ঋজু ঘোষাল, তরুণজ্যোতি তিওয়ারিরা। আরজি কর হাসপাতালের ঘটনা নিয়ে হাইকোর্টে তুমুল বচসা দুই আইনজীবীর মধ্যে। বচসায় জড়িয়ে পড়লেন আইনজীবী এবং তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সিপিএম নেতা ও আইনজীবী সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায়। 


প্রতিবাদে এসে এদিন বর্ষীয়ান এক আইনজীবী বলেন, 'আমরা কতক্ষণ দাঁড়িয়ে আছি, আমরা মারামারি করতে আসিনি, আমরা লোককে সহায়তা করতে এসেছি। এরকম অসভ্য প্রশাসন কোনও দেশে কোনও রাজ্যে, কোনও জায়গায় নেই।' আরজিকর কাণ্ডের প্রতিবাদে রাস্তায় নেমে অপর এক আইনজীবী বলেন, 'একমাত্র বলবার হচ্ছে, শক্ত হাতে শাসন করুন। দেশ সম্পূর্ণভাবেই শাসনের বাইরে চলে গিয়েছে। আরজিকর মেডিক্যাল কলেজে যা ঘটেছে, তা কোনও সভ্য দেশে ঘটে না। পশ্চিমবাংলা একসময় ছিল সংষ্কৃতি ও সভ্যতার জায়গা। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে আজকে এই ঘটনা ঘটছে।'


অপরদিকে, গত বৃহস্পতিবারের পর, সোমবার আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের নিহত তরুণী চিকিৎসকের বাড়িতে যায় সিবিআইয়ের টিম। ৯ অগাস্ট, ভোরবেলা, আর জি কর হাসপাতালের সেমিনার রুম থেকে উদ্ধার হয় তরুণী চিকিৎসদের রক্তাক্ত মৃতদেহ। তার আগে ৮ই অগাস্ট রাতে এই কাণ্ডে ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ারের গতিবিধি কী ছিল? CBI সূত্রে খবর, ৮ অগাস্ট রাত থেকে ৯ই অগাস্ট ভোরবেলা পর্যন্ত, আর জি কর হাসপাতালে মোট তিনবার এসেছিল অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়। 


সিবিআই সূত্রে খবর, প্রথম ঢুকেছিল সন্ধে ৬টায়। তবে, সেই সময় সে একা নয়, তার সঙ্গে ছিল সৌরভ নামে আরেক সিভিক ভলান্টিয়ার। CBI সূত্রে খবর,দ্বিতীয়বার সঞ্জয় হাসপাতালে ঢোকে রাত ১১টায়। যায় চেস্ট মেডিসিন বিভাগে। তখন সে একাই ছিল। CBI সূত্রে খবর, CCTV-র সূত্র ধরে, জানা যাচ্ছে, তৃতীয়বার তাকে চেস্ট মেডিসিন বিভাগেই ঢুকতে দেখা যায়, ভোর ৪টে ৩ মিনিটে। তারপরের নারকীয় ঘটনার কথা সকলের জানা। এখানেই প্রশ্ন উঠছে, তবে কি রেকি করতে গেছিল সঞ্জয়? 


আরও পড়ুন, 'পুলিশের কারণেই আমরা নিরাপদে থাকতে পারি..', রাখি পরিয়ে দাবি লাভলির


পুলিশ সূত্রে খবর, আর জি কর আউটপোস্টে কর্মরত সিভিক ভলান্টিয়ারের সংখ্য়া ২৭। কিন্তু, সঞ্জয় এই হাসপাতালে কর্মরত ছিল না। কিন্তু তা সত্ত্বেও কীভাবে আর জি কর মেডিক্য়াল কলেজে সঞ্জয়ের অবাধ বিচরণ? সূত্রের খবর, হাসপাতালের নার্সিং স্টাফ, নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা বেশ কয়েকজন সঞ্জয়ের পূর্ব পরিচিত ছিল। শুধু তাই নয়, বিভিন্নসময় বিভিন্নভাবে চিকিৎসক, জুনিয়র ডাক্তারদের কাজ করে দিত সঞ্জয়। তাই কর্মরত না হওয়া সত্ত্বেও যখন খুশি হাসপাতালের যে কোনও জায়গায় সে যেতে পারত। 


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।