কলকাতা: তথ্য গোপন করছে ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ার, সন্দেহ সিবিআইয়ের। সঞ্জয় রায়ের পলিগ্রাফ টেস্ট করতে শিয়ালদা কোর্টে আবেদন কেন্দ্রীয় এজেন্সির। আর জি করে চিকিৎসককে ধর্ষণ-খুন তদন্তে এবার অভিযুক্তের পলিগ্রাফ টেস্ট করাতে তৎপর সিবিআই। 


কী এই পলিগ্রাফ টেস্ট (Polygraph Test)? কীভাবে করা হয়?


তদন্তের ক্ষেত্রে পলিগ্রাফ টেস্ট সাধারণত করা হয় কোনও ব্যক্তি মিথ্যে কথা বলছে কি না তা জানার জন্য। পলিগ্রাফ টেস্ট যখন করা হয় সেখানে চার থেকে ছয়টি সেন্সর দেওয়া থাকে। পলিগ্রাফ হল একটি মেশিন, যেখানে সেন্সর থেকে একাধিক (Poly) সংকেতগুলি কাগজের একটি স্ট্রিপে (Graph) রেকর্ড করা হয়। সেখানে শ্বাসের হার, শ্বাস-প্রশ্বাসের পরিবর্তন, রক্তচাপ এবং কতটা ঘাম হচ্ছে তা পরীক্ষা করা হয়। সাধারণত হাত এবং পায়ে সেন্সর যোগ করে করা হয়। রক্তচাপ ঠিক আছে কিনা তা দেখার জন্য একটি মনিটর, আঙ্গুল ও হাতের তালুতে তড়িৎ প্রবাহের পরিবর্তন লক্ষ্য করার জন্যে দুটি নল বুক ও পাকস্থলীর আশেপাশে যুক্ত করা হয়। 


American Psychological Association (APA)-এ প্রকাশিত তথ্য অনুসারে পলিগ্রাফ পরীক্ষা শুরু হলে, প্রশ্নকর্তা প্রথমে তিন বা চারটি সহজ প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেন। এরপর ধীরে ধীরে প্রশ্নে জটিলতা বৃদ্ধি করা হয়। কোনও প্রশ্নে উপরিউল্লিখিত লক্ষণগুলি উল্লেখযোগ্যভাবে পরিবর্তিত হয়েছে কি না তা দেখা হয়। 


আরও পড়ুন, মেয়ের বিচারের দাবিতে মায়ের পুজোয় সরকারি অনুদান প্রত্যাখ্যান, শহরের এই পুজো কমিটির বড় সিদ্ধান্ত


কর্নেল স্কুল অফ ল' এর একটি রিপোর্টে বলা হয়েছে, মিথ্যা বলার ফলে মানসিক চাপ বেড়ে যেতে পারে আচরণগত এবং মানসিক পরিবর্তনগুলো দেখা যায় যা মানসিক স্ট্রেস-এর সময় হয়ে থাকে যা ধরা পড়ে ওই গ্রাফে। যদিও পলিগ্রাফ টেস্ট সর্বৈবভাবে সরাসরি মিথ্যেকে পরিমাপ করতে পারে না, তবে এ নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। প্রশ্নের উপরও এই টেস্টের নির্ভুলতা অনেকটাই নির্ভরশীল। যদি পরীক্ষক প্রশিক্ষিত পরীক্ষা সঠিকভাবে পরিচালনা করেন এবং প্রশ্নে সঠিক নিয়ন্ত্রণ থাকে তাহলে ৮০% -৯০% ক্ষেত্রে নির্ভুল উত্তর পাওয়া যেতে পারে। 


যেহেতু এটি একটি শারীরিক পরীক্ষা এবং বেশ কিছুক্ষণ সময় নিয়ে এই পরীক্ষা করা হয়, তাই আইনি অনুমতি নেওয়ার প্রয়োজন হয়। 


 


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে