কলকাতা: এবার আর জি কর কাণ্ডে পুলিশের প্রথম FIR-এর বয়ান ঘিরেও বিতর্ক। 'উইলফুল রেপ উইথ মার্ডার' অর্থাৎ 'ইচ্ছাকৃত ধর্ষণ এবং খুন'। আর জি কর মেডিক্যালের চিকিৎসককে ধর্ষণ-খুনের FIR-এ উল্লেখ। টালা থানার FIR-এ ১২ নম্বর কলমে লেখা। আইনি পরিভাষায় ইচ্ছাকৃত ধর্ষণের কোনও ব্যাখ্যা নেই। কেন FIR-এ 'উইলফুল রেপ' লিখল পুলিশ, উঠছে প্রশ্ন। এই ধরণের মামলায় তদন্তকারী আধিকারিককে সহযোগিতা করেন লালবাজারের গোয়েন্দারা। এই ক্ষেত্রে কি কলকাতা গোয়েন্দা পুলিশের সাহায্য নেওয়া হয়েছিল? উঠছে প্রশ্ন।


৯ অগাস্ট রাত ১১টা ৪৫ মিনিটে FIR করে টালা থানা। 'সকাল ১০টায় পুলিশ পৌঁছলেও কেন রাত পৌনে ১২টায় FIR। মৃতদেহে একাধিক আঘাতের চিহ্ন থাকার পরেও কেন খুনের ধারায় FIR নয়। কেন অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করল পুলিশ', হাইকোর্টের পর প্রশ্ন তুলেছিল সুপ্রিম কোর্টও।  কিন্তু প্রশাসনের হুঁশ ফিরবে কি? নাকি বার বার হবে বিলম্বে বোধোদয়? কার মদতে এমন বেপরোয়া হয়ে ওঠে সঞ্জয়রা? আর কত প্রাণ অকালে ঝরে গেলে শিক্ষা নেবে পুলিশ ও প্রশাসন? আরজি কর-কাণ্ডে ঘুরপাক খাচ্ছে এই সব প্রশ্নই।


চিকিৎসক খুনের পর বড়সড় প্রশ্নের মুখে পড়েছে আরজি করের নিরাপত্তা। কোপ পড়েছে ২ চুক্তিভিত্তিক রক্ষীর ওপর। হাসপাতাল সূত্রে খবর, চেস্ট মেডিসিন বিভাগের চারতলায় নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন ওই দুই অস্থায়ী কর্মী। ২ চুক্তিভিত্তিক রক্ষীকে সাসপেন্ড করার পাশাপাশি ওই বিভাগের বাকি জায়গাগুলিতে CC ক্যামেরা লাগানোর কাজ শুরু হয়েছে। হাসপাতাল সূত্রে খবর, অন্য বিভাগ থেকেও CC ক্যামেরা বসানোর আবেদন এসেছে।  


আরও পড়ুন, 'আসল দোষীদের আড়াল করার চেষ্টা..', মুক্তির পর RG Kar কাণ্ডে দাবি সায়নের


খাস মেডিক্য়াল কলেজে চিকিৎসক ধর্ষণ-খুনের পর টনক নড়েছে পুলিশের। শনিবারের পর রবিবারও পুলিশে পুলিশে ছয়লাপ RG কর হাসপাতাল চত্বর। নিরাপত্তা বাড়ানোর পাশাপাশি, মোতায়েন করা হয়েছে মহিলা পুলিশ ও র‍্যাফ। ইমার্জেন্সি বিভাগের সামনে গার্ডরেল দিয়ে তৈরি করা হয়েছে ব্যারিকেড। অন্যদিকে, এই ঘটনার প্রেক্ষিতে মহিলাদের নিরাপত্তা নিয়ে ১৫ দফা নির্দেশিকা জারি করেছেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার। যেখানে বলা হয়েছে - মহিলাদের সঙ্গে অপরাধ সংগঠিত হতে পারে এরকম এলাকা চিহ্নিত করতে হবে।


 


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।