কলকাতা: 'আর জি কর মেডিক্যালের নিহত চিকিৎসকের মৃতদেহ সৎকারে এত তাড়াহুড়ো কেন?' প্রশ্ন তুলে পানিহাটির তৃণমূল বিধায়ক নির্মল ঘোষের ভূমিকা নিয়ে সরব শুভেন্দু অধিকারী। বিরোধী দলনেতার অভিযোগ খারিজ করে নির্মল ঘোষের পাল্টা দাবি, নিয়ম মেনেই হয়েছে মৃতদেহ সৎকার। সেদিন কীভাবে হয়েছিল সৎকার, জানিয়েছেন পানিহাটি শ্মশানের ২ কর্মী।




সাংবাদিক: কটার সময় হয়েছে ?


পানিহাটি শ্মশানের কর্মী :  আনুমানিক রাত ১২ টা।


সাংবাদিক : কলকাতা পুলিশ থেকে কে এসেছিল ?


পানিহাটি শ্মশানের কর্মী :  খেয়াল করিনি, তবে আমাদের খড়দা থানা-ঘোলা থানা ছিল, কলকাতা পুলিশও ছিল হয়তো। বডি আসার আগেই পুলিশ এসে গিয়েছিল। তখন ৫ টা বড়ি এসেছিল। ৩ টে বডি দাহ করা হয়েছিল। এতটাই জনবহুল হয়ে গিয়েছিল এলাকা, কারণ ভিআইপি ছিল, তারপর আমাদের মৃতদেহ জন্য কর্মীরাও ছিল। তারপর পুলিশের গাড়িও ছিল। এলাকা জনবহুল হয়ে যাওয়ার জন্য ভিআইপি ট্রিটমেন্ট দিয়ে  যত তাড়াতাড়ি করা যায়, তাই দুটো বডির আগেই করা হয়েছিল।




'দাহকার্যের সময় যে সই করতে হয়, ওর বাড়ির লোক সই করেনি, কে করেছে ? '


শুভেন্দু বলেন, আমি প্রশ্ন করতে চাই, পানিহাটির যে শ্মশানে দাহ করা হয়েছে আমাদের বোনকে, সেই শ্মশানের যে দাহকার্যের খরচ , মৃতার বাড়ির লোক দেয়নি। কে দিল, আমি পরশুদিন বলেছিলাম নির্মল ঘোষ যাবে কেন ? ব্যারাকপুর কমিশনারেটে অভিষেক গুপ্তা ডিসি যাবেন কেন ? আজকে দুটো তথ্য আপনাদের দিচ্ছি। প্রমাণ হয়ে যাবে, দেখে নেবেন। এক, দাহকার্যের খরচ বাড়ি থেকে খরচ করেনি, কে করেছে ? দুই, দাহকার্যের সময় যে সই করতে হয়, ওর বাড়ির লোক সই করেনি, রেজিস্ট্রারটা খুলে দেখে নিন।'


আরও পড়ুন, পেট্রোলে প্রায় ১ টাকা কমল মুর্শিদাবাদে, আজ জ্বালানি ভরাতে খরচ কত ?


' আমার কী এমন দায়িত্ব আছে যে, আমি তাড়াতাড়ি গিয়ে পুড়িয়ে দেব'


পাল্টা পানিহানির তৃণমূল বিধায়ক নির্মল ঘোষ বলেন,' আমার কী এমন দায়িত্ব আছে যে, আমি তাড়াতাড়ি গিয়ে পুড়িয়ে দেব। এমন কোনও ঘটনা তো আমার সঙ্গে নেই। এটা নিয়ম মাফিক।'  অপরদিকে, তরুণী চিকিৎসকের মৃতদেহ উদ্ধারের পরে, আর জি কর মেডিক্যাল কলেজের সেমিনার হলে থিকথিকে ভিড়। ভাইরাল হয়েছে সেই ভিডিও।এর ফলে কি তথ্য়প্রমাণ নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা জোরাল হচ্ছে না?  এই ভিডিও ঘিরে জোরাল হচ্ছে প্রশ্ন।


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।