ঝিলম করঞ্জাই, সুকান্ত মুখোপাধ্যায় , কলকাতা : RG কর মেডিক্যাল কলেজে মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ-খুনের ঘটনায় CBI-র ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদের মুখে প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ। গতকাল সন্দীপকে নাটকীয়ভাবে মাঝরাস্তা থেকে CGO কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। সন্দীপ ঘোষের ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রে দাবি, রাত সাড়ে ৯টা থেকে প্রাক্তন অধ্যক্ষকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয়। রাত দেড়টা নাগাদ ছেড়ে দেওয়া হয় সন্দীপ ঘোষকে।

  


সন্দীপ ঘোষকে জিজ্ঞাসাবাদে কোন কোন বিষয়ে নজর রেখেছে সিবিআই। ভেতরের সূত্র মারফত খবর, সিবিআই মূলত জানতে চাইছে, সেদিন ওই ঘটনা জানতে পারার পর তাঁর প্রথম প্রক্রিয়া কী ছিল। তিনি কী জানতেন, মেয়েটির বাবা-মাকে প্রাথমিকভাবে আত্মহত্যার কথা বলেছেন হাসপাতালের অ্যাসিট্যান্ট সুপার। সন্দীপ ঘোষই কি অ্যাসিসট্যান্ট সুপারকে এ - কথা বলতে বলেছিলেন ? কী অবস্থায় তিনি প্রথম নির্যাতিতার দেহ দেখেন? ওই দিনের নানা ঘটনাক্রমের ভিত্তিতে প্রশ্ন করা হয় সন্দীপকে। 


এছাড়া, সবথেকে গুরুত্ব দিয়ে গোয়েন্দারা যে বিষয়টি দেখতে চাইছেন তা হল, কেন আর জি করে সেমিনার হলের কাছাকাছি ঘর  সংস্কারের কাজ শুরু হল ওই ঘটনার পর ? যেখানে ওই তলেই সেমিনার হলে মিলেছে নির্যাতিতার দেহ ! এতে করে যে প্রমাণ নষ্ট হতে পারে, তা কি জানতেন না অধ্যক্ষ? নাকি জেনে শুনেই অনুমতি দিয়েছেন তিনি ? কলেজ সূত্রে খবর, ওই ভাঙচুরে অনুমতি দিয়েছিলেন অধ্যক্ষই।  এই বিষয়ে সন্দীপের বক্তব্য শুনেছে সিবিআই। বারবার করে তাঁর বয়ানের সঙ্গে মিলিয়ে দেখা হচ্ছে অন্যদের বক্তব্য। 


শুক্রবারও ফের আরজি করে যায় সিবিআই। সেখানে গিয়ে ৩৬০ ডিগ্রি অ্যাঙ্গেলে ছবি তোলা হয়  3D লেজার স্ক্যানার মেশিনের সাহায্যে। ঘটনাস্থলের এই ছবি বিচার করে দেখা হবে। এছাড়া আজ ফের আরও কিছু পড়ুয়া চিকিৎসককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হয়েছে। 


সন্দীপের ঘনিষ্ঠ সূত্রের খবর, তিনি শনিবার সকালে বাড়িতেই আছেন। শুক্রবার গভীর রাত পর্যন্ত তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। আরও জানা যাচ্ছে, সকালবেলা সিবিআই তাঁকে নিয়ে গেলেও তাঁকে রাত পর্যন্ত বসিয়েই রাখা হয়। হঠাৎ রাত সাড়ে ৯ টার সময় জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয়, যা চলে গভীর রাত পর্যন্ত। রাত দেড়টা নাগাদ বাড়ি ফেরেন সন্দীপ।


অন্যদিকে, ১৪ অগাস্ট রাতে RG কর হাসপাতালের ইমার্জেন্সি বিল্ডিংয়ে ভাঙচুর ও তাণ্ডবের ঘটনায় আরও কয়েকজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৩০। পুলিশ সিসিটিভি ফুটেজ মিলিয়ে দেখছে, আর কে কে যুক্ত আছে এই ঘটনায়। যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে, তাদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করে বাকিদের খোঁজ করার চেষ্টা করছে পুলিশ।  


আরও খবর :                                      


১৩০০ যাত্রীকে নিয়ে ফের বেলাইন ট্রেন, দুর্ঘটনার মুখে সবরমতী এক্সপ্রেস