ঝিলম করঞ্জাই, কলকাতা: আরজি কর-এ চিকিৎসককে ধর্ষণ-খুনকাণ্ডে মুখ্যমন্ত্রী পুলিশকে রবিবার পর্যন্ত ডেডলাইন বেঁধে দিয়েছিলেন। পাল্টা ৪৮ ঘণ্টার ডেডলাইন বেঁধে দিলেন আন্দোলনকারী পড়ুয়া-চিকিৎসকরা। 


RG কর মেডিক্যাল কলেজে জেনারেল বডির মিটিংয়ের পর আন্দোলনকারীর জানিয়ে দিলেন, SIT-র তদন্তে তাঁরা সন্তুষ্ট নন। তাঁরা চান বিচারবিভাগীয় তদন্ত। গতকাল রাত আড়াইটে পর্যন্ত RG কর হাসপাতালে GB মিটিংয়ে ৬ দফা দাবি পেশ করে আন্দোলনকারী পড়ুয়া-চিকিৎসকরা জানিয়ে দেন, ১৪ অগাস্টের মধ্যে পুলিশকে তদন্ত শেষ করতে হবে। এর পাশাপাশি, CC ক্যামেরার ফুটেজ ও পোস্টমর্টেম রিপোর্ট সামনে আনা-সহ ৬ দফা দাবি না মানা পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবেন বলেও জানিয়ে দেন রাজ্যের ২১টি মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের জুনিয়র চিকিৎসকরা।


সোমবার আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিহত চিকিৎসকের বাড়ি থেকে বেরিয়ে পুলিশকে একেবারে ডেডলাইন বেঁধে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেছিলেন, আমার এখানে কোনও পাওয়ার, লেনাদেনা কিছু নেই। আমি প্রথম থেকেই বলছি। মানুষের স্যাটিসফেকশনের জন্য যদি কেউ ভাবতে পারে যে পুলিশ ঠিকমতো করতে পারছে না, যদিও কলকাতা পুলিশ ইজ দ্য বেস্ট পুলিশ ইন দ্য ওয়ার্ল্ড, তাদের তদন্তের যে সিস্টেমটা এবং সবচেয়ে ভাল অফিসারকে লাগানো হয়েছে। সমস্ত কিছু দিয়ে। আমরা রবিবার পর্যন্ত সবাইকে ডাকব, আমাদের পুলিশ ডাকবে।                           


এর পরই মমতা বলেন, আমি চাই পুলিশ যত তাড়াতাড়ি সম্ভব দোষীদের গ্রেফতার করবে। আর রবিবার পর্যন্ত যদি তারা কুলকিনারা করতে না পারেন কারণ ভিতরেও তো অনেকে আছে, তাহলে এই কেসটা আমরা আর আমাদের হাতে রাখব না। আমরা CBI-কে দিয়ে দেব।          


আরও পড়ুন, ধর্ষণ-খুনের ঘটনা সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট, ১৫ জন Influencers -কে তলব লালবাজারের


তবে মুখ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্যর পর অবশ্য আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের তরফে বলা হয়,  আমরা অতি দ্রুততার সঙ্গে চাইছি তদন্ত। কেন রবিবার? এত দেরি কেন? এটা তো স্বাভাবিক কেস নয়। সাধারণ ঘটনা নয়। তাহলে এত দেরি করার আমরা কখনই পক্ষপাতী নই।  


 


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে