সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগনা: খবর যখন পেয়েছিলেন তখন সব শেষ! হাসপাতালে পৌঁছেও মেয়ের দেহ দেখার জন্য '৩ ঘণ্টার অপেক্ষা' করতে হয়েছিল। সেই দিন থেকেই পুলিশের বিরুদ্ধে, হাসপাতালের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিল নির্যাতিতার পরিবার। পুলিশি তদন্তে 'আস্থা না রেখে' সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়েছিলেন। তাঁর মেয়ের মৃত্যুর বিচারের দাবি জানিয়ে আন্দোলন শুরু করেছিলেন চিকিৎসকরা। এরপর সেই আন্দোলন গণ জাগরণ হয়ে ওঠে। সমাজের সব মহলের আজ একটাই দাবি- 'উই ওয়ান্ট জাস্টিস'। 


তবে এই ঘটনার তদন্তে নেমে সঞ্জয় রায়কে গ্রেফতার করেছিল কলকাতা পুলিশ। এরপর হাইকোর্টের নির্দেশে এই মামলার দায়িত্ব দেওয়া হয় সিবিআইকে। এর মধ্যে আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে সিবিআই। সঞ্জয় রায়কেও হেফাজতে নিয়ে চলছে জিজ্ঞাসাবাদ। তবে এই জিজ্ঞাসাবাদ নিয়ে সন্তুষ্ট নয় নির্যাতিতার পরিবার। 


নির্যাতিতার বাবা বলেন, 'নিজে রাস্তায় নামছেন নির্যাতিতার বিচার চেয়ে অথচ ১৪৪ ধারা জারি করে এই আন্দোলনকে বন্ধ করারও চেষ্টা করছেন। এটা কেন? এই দ্বিচারিতা কেন করছেন? তবে কি সাধারণ মানুষকে ভয় পাচ্ছেন?' 


আরও পড়ুন, 'হয়রানি করা হলে দেশজুড়ে তীব্র হবে আন্দোলন', ডাক্তারদের তলবে পুলিশের বিরুদ্ধে গর্জে উঠছে চিকিৎসকমহল


নির্যাতিতার মা বলেন, 'আমার মেয়ে বলেছে বাপি আমি যে ওখানে আছি সেটা জানাশোনা কাউকে বলো না। আর জি করে কী হত আপনারা এখন বুঝতে পারছেন। আমি কিছু করতে পারব না। আমাকে ফেল করিয়ে দেবে। নিশ্চয় কিছু চাপ ছিল।' 


এরপর কান্নায় গলা ধরে আসে নির্যাতিতার মায়ের। তিনি বলেন, 'যারা কন্যাশ্রী প্রকল্প বা লক্ষ্মীর ভাণ্ডার তাঁরা নেওয়ার আগে তাঁদের লক্ষ্মী সুরক্ষিত কি না একবার ভাববেন। রাজ্যবাসী ও দেশবাসীর কাছে এই অনুরোধ রইল।'  


এদিকে, 'আর জি কর মেডিক্যালের প্রমাণ নষ্ট করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়', আক্রমণ বিজেপির। 'বাংলায় আইনশৃঙ্খলা নেই। মহিলা চিকিৎসককে বাঁচাতে পারেন না, দোষীদের ধরতে না পারলেও মিছিল বার করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পদত্যাগ করা উচিত বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর', আক্রমণ বিজেপির মুখপাত্র গৌরব ভাটিয়ার।                        


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে