কলকাতা : বৈঠকে যোগ দিতে কালীঘাটে জুনিয়র ডাক্তাররা। সন্ধে ৬টা ১৬ মিনিট নাগাদ পৌঁছে গেল তাঁদের বাস। বাসে করে একেবারে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির দোরগোড়ায় পৌঁছে গেলেন আন্দোলনকারী চিকিৎসকরা। ৩০ জন চিকিৎসকের প্রতিনিধি দল পৌঁছে গেছে সেখানে। তবে নতুন করে একটা জটিলতার আশঙ্কা রয়েছে। কারণ, জুনিয়র ডাক্তাররা তাঁদের সঙ্গে নিয়ে গেছেন ২ স্টেনোগ্রাফারকে। পেশাদার এই স্টেনোগ্রাফাররা এক অর্থে 'বহিরাগত।' তাঁদের সরকার পক্ষ ভিতরে ঢুকতে দেয় কি না সেটাই একটা প্রশ্ন। এই পরিস্থিতিতে কখন বৈঠক শুরু হয় সেদিকে তাকিয়ে চিকিৎসকরা।
গত পরশু রাতে বৈঠকের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর কালীঘাটের বাড়ির সামনে পৌঁছে গিয়েছিলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। জুনিয়র ডাক্তারদের বাস সেখানে পৌঁছানোর পর মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির সামনে চলেও যান আন্দোলনকারীরা। কিন্তু, তাঁরা ভিতরে বৈঠকে যোগ দিতে যাননি। কারণ, তাঁদের লাইভ স্ট্রিমিংয়ের শর্ত মেনে নেয়নি রাজ্য। এনিয়ে দীর্ঘক্ষণ তাঁদের বোঝাতে থাকেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও তখনকার মতো লাইভ স্ট্রিমিং বা দুই পক্ষের ভিডিওগ্রাফির দাবিতে অনড় থাকেন তাঁরা। তাঁদের বক্তব্য ছিল, স্বাস্থ্য ভবনের সামনে ধর্নামঞ্চে থাকা অন্যান্য আন্দোলনকারীদের কাছেও যাতে এই বৈঠকে কী হচ্ছে তা পৌঁছয়, সেই কারণে তাঁরা লাইভ স্ট্রিমিং চান। তাতে স্বচ্ছতা থাকবে বলে তাঁরা দাবি করতে থাকেন। যদিও তা সম্ভব নয় বলে জানানো হয় তাঁদের। এই পরিস্থিতিতে কিছুক্ষণের জন্য আলোচনা সারেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। তাঁরা মুখ্য়মন্ত্রীর চেয়ারের সম্মানের কথা ভেবে তখনকার মতো লাইভ স্ট্রিমিং বা ভিডিওগ্রাফি ছাড়াই বৈঠকে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। যদিও সেই সময় অনেক দেরি হয়ে গিয়েছে, আর বৈঠক সম্ভব নয় বলে জুনিয়র চিকিৎসকদের জানিয়ে দেন স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। যা নিয়ে যারপরনাই ক্ষুব্ধ হন আন্দোলনকারীরা। তাঁরা 'মোটামুটি ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বের করে দেওয়া হয়েছে' বলে অভিযোগ জানান। তাঁদের এই অভিযোগের ভিত্তিতে তোলপাড় হয় রাজ্য।
এরপর ধর্নামঞ্চে ফিরে এসে এনিয়ে নিজেদের ক্ষোভ উগরে দেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। এরপর কেটে গিয়েছে একদিন। এদিন ফের নতুন করে জুনিয়র চিকিৎসকদের কালীঘাটেই মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে বৈঠকের জন্য ডেকে পাঠানো হয়। একটি মেল করে তাঁদের সন্ধে ৫টা নাগাদ বৈঠকে আসতে বলেন মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ। যদিও কয়েকটি বিষয় নিয়ে উভয় পক্ষের টানাপোড়েনের জেরে চলে মেল-পাল্টা মেল। শেষ পর্যন্ত বৈঠকের জন্য কালীঘাট পৌঁছে যান চিকিৎসকরা।