কলকাতা : আর জি কর আউটপোস্টে মোতায়েন সব পুলিশ কর্মীকে তলব করল CBI । CBI তলবে সিজিও কমপ্লেক্সে হাজির চিৎপুর থানার অতিরিক্ত OC। চিকিৎসক ধর্ষণ-খুনের ঘটনাস্থল সেমিনার রুম রক্ষার দায়িত্বে ছিলেন অতিরিক্ত OC। ইতিমধ্যেই তাঁরা হাজির হয়েছেন সিজিও কমপ্লেক্সে। এদিকে এনিয়ে পরপর আট দিন আর জি কর-কাণ্ডের তদন্তে আজ ফের CBI-জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি সন্দীপ ঘোষ। সকাল ১০টা ২০ মিনিটে সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে CBI-অফিসে পৌঁছে যান আর জি কর মেডিক্যালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ। এদিনও সাংবাদিকদের প্রশ্নের কোনও জবাব দেননি সন্দীপ ঘোষ। চিকিৎসককে ধর্ষণ-খুনের জট খুলতে আর জি কর মেডিক্যালের প্রাক্তন অধ্যক্ষকে ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ করছে কেন্দ্রীয় এজেন্সি। গত সাতদিনে সন্দীপ ঘোষকে ৭৮ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করেছে CBI। 


আর জি কর মেডিক্যালে পিজিটি ছাত্রীকে খুন-ধর্ষণের তদন্তে এখনও পর্যন্ত ৭৩ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। গতকাল সুপ্রিম কোর্টে জমা দেওয়া স্টেটাস রিপোর্টে এমনই জানিয়েছে CBI। সর্বোচ্চ আদালতে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা জানিয়েছে, ধৃত অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়, তার বন্ধু সৌরভ, প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ, সদ্য প্রাক্তন উপাধ্যক্ষ বুলবুল মুখোপাধ্যায়কে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। এছাড়াও যিনি প্রথম তরুণী চিকিৎসকের মৃতদেহ দেখেছিলেন, নিহত নির্যাতিতার মা-বাবা এবং পোস্ট মর্টেমের দায়িত্বে থাকা ৫ জন চিকিৎসককেও জিজ্ঞাসাবাদ করেছে CBI। ঘটনার রাতে অনলাইন ফুড ডেলিভারি সংস্থার যে কর্মী তরুণী চিকিৎসককে খাবার দিতে গিয়েছিলেন, সেই রাতে নির্যাতিতার সঙ্গে যে চারজন জুনিয়র ডাক্তার একসঙ্গে খাবার খেয়েছিলেন, তাঁদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে বলে সুপ্রিম কোর্টে জানিয়েছে CBI। আর জি কর মেডিক্যালে যে চারজন নির্যাতিতার ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত, তাঁদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করেছে CBI। চেস্ট মেডিসিন বিভাগের একাধিক আধিকারিক-সহ ৪৯ জন গ্রাউন্ড স্টাফকেও জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। তদন্ত চলাকালীন, সেমিনার রুমের পাশের দেওয়াল ভাঙা নিয়ে সন্দেহ তৈরি হয়েছে জনমানসে। সেই কাজে আসা শ্রমিকদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করেছে CBI।


এদিকে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে আর জি কর মেডিক্যাল কলেজের ক্যাম্পাসে নিরাপত্তার দায়িত্ব সামলাচ্ছে CISF। হাসপাতালের মেন গেট, ট্রমা কেয়ার ইউনিট, জরুরি বিভাগ-সহ বিভিন্ন জায়গায় মোতায়েন করা হয়েছে ২ কোম্পানি CISF জওয়ান। বয়েজ ও লেডিজ হস্টেল-সহ ২৫টি জায়গায় মোতায়েন রয়েছে CISF। আর জি মেডিক্য়াল কলেজের বাইরে নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছে কলকাতা পুলিশ। হাসপাতালের গেটে এদিন সমন্বয় রেখেই কাজ করতে দেখা গেছে পুলিশ ও CISF-কে। 


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে