আর জি কর কাণ্ড নিয়ে তোলপাড় দেশ। নানা অভিযোগে বিদ্ধ প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোঘ। মেডিক্যালের প্রাক্তন অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ক্ষেত্রে আর্থিক দুর্নীতির পাশাপাশি মৃতদেহ ও বায়ো মেডিক্যাল বর্জ্য পাচার, তোলাবাজি, কমিশন খাওয়ার অভিযোগ এনেছেন হাসপাতালেরই প্রাক্তন ডেপুটি সুপার । এই আবহেই আরেক কলেজের প্রিন্সিপালের বিরুদ্ধে উঠল অফিসের মধ্যেই মদ খাওয়া ও গা-হাত-পা টেপানোর অভিযোগ।
এই অভিযোগ উঠল একটি নার্সিং কলেজের প্রিন্সিপালের বিরুদ্ধে। গুরুতর অভিযোগ এনে মুখ্যমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকেও চিঠি লিখে ফেলেছেন পড়ুয়ারা। আনা হয়েছে ভয়ঙ্কর সব অভিযোগ। ছবিও হয়েছে ভাইরাল। প্রিন্সিপালের যে ছবিগুলি প্রকাশ্যে এসেছে তাতে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে, একেবারে কলেজে তাঁর দফতরের মধ্যেই বসেছে মদের আসর। অভিযোগ, মদ্যপানের পরই তিনি পড়ুয়াদের ডেকে পাঠান। তারপর তাঁকে ম্যাসাজ দিতে বলেন। পরিস্থিতির চাপে তা করতে বাধ্যও হন তাঁরা। এবার তাঁরা মুখ খুললেন।
বিহারের বেত্তিয়ার জিএনএম ট্রেনিং ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ মনীশ জয়সওয়ালের বিরুদ্ধে যে কয়টি অভিযোগ সামনে এসেছে, তার প্রতিটিই ভয়ঙ্কর আপত্তিকর। মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার এবং স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে চিঠি লিখেছেন নার্সিং শিক্ষার্থীরা। প্রিন্সিপাল ইনচার্জের বিরুদ্ধে অফিসে বসেই মদ্যপানের অভিযোগ এনেছেন তাঁরা। বৃহস্পতিবার নার্সিং শিক্ষার্থীরা ডিএম অফিসে গিয়েও তাঁদের অভিযোগ জানান।
শুধু লিখিত অভিযোগ নয়, বেশ কিছু ছবিও এসেছে প্রকাশ্যে। সেখানে তাঁদের বোতল থেকে মদ ঢালতে দেখা যায়। তারপর একটি ছবিতে তাঁকে ম্যাসাজ নিতেও দেখা যায়। পড়ুয়াদের অভিযোগ, মুখ্যমন্ত্রী মদ নিষিদ্ধকরণের পক্ষে। সেখানে কেন বিহারে কলেজ অধ্যক্ষদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না? ছাত্রীদের অভিযোগ, ওই নার্সিং কলেজের ছাত্রীদের মত্ত অধ্যক্ষের ভয়ে জীবনযাপন করতে হচ্ছে। অভিযোগ বাবার এই বিষয়ে সংশ্লিষ্ট দফতরকে জানানো হলেও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
আরও পড়ুন :
এবার সন্দীপ ঘোষকে আষ্টেপৃষ্টে ধরবে ইডি? বড় খবর আজই
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।
এখনও পর্যন্ত অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। পুরো বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পর অধ্যক্ষ মনীশ কুমার জয়সওয়ালের সাফাই, ছবিগুলো আসল নয়, বানানো।
বৃহস্পতিবার জিএনএম ট্রেনিং সেন্টারের বাইরে ছাত্রীরা আন্দোলন করে। শিক্ষার্থীদের দাবি, অধ্যক্ষকে দ্রুত এখান থেকে অপসারণ করতে হবে।