কলকাতা : আজকের নবান্ন অভিযানে যে তাঁরা শামিল হচ্ছেন না তা আগেই জানিয়ে দিয়েছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। এর পাশাপাশি গতকাল তাঁরা এও ঘোষণা করেন যে, আগামীকাল অর্থাৎ বুধবার ২৮ আগস্ট তাঁরা একটি গণমিছিলের আয়োজন করতে চলেছেন। এজন্য তাঁরা সমাজের সর্বস্তরের মানুষকে আহ্বানও জানান। আগামীকাল শ্যামবাজার থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত তাঁরা মিছিল করবেন।
জুনিয়র চিকিৎসকদের তরফে বলা হয়, "আমরা ২৮ আগস্ট একটি গণমিছিলের ডাক দিয়েছি। এর আগে আমাদের আন্দোলন ও মিছিলগুলিতে সমাজের সর্বস্তরের মানুষ স্বতঃস্ফূর্ণভাবে যোগদান করেছেন। এই প্রথম আমরা সমাজের প্রত্যেক শুভবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষকে সম্মিলিতভাবে এই গণমিছিলে হাঁটার ডাক দিচ্ছি। আমরা চাই, সমাজের সমস্ত অভিভাবক যাঁরা নিজেদের সন্তানের জন্য একটি সুস্থ ও নিরাপদ ভবিষ্যৎ দেখতে চান, তাঁরা বুধবার ২৮ আগস্ট আমাদের সঙ্গে পায়ে পা মেলান।"
তাঁরা আরও বলেন, "ন্যায়বিচার ও নিরাপদ কর্মস্থলের দাবি আমাদের আন্দোলন ও কর্মবিরতি একইভাবে চলবে। ২৭ আগস্ট একটি নবান্ন অভিযানের ডাক আমরা বিভিন্ন গণমাধ্যম থেকে শুনতে পাচ্ছি। আমরা WBJDF-এর পক্ষ থেকে স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিতে চাই, এই মিছিলটি আমাদের ডাকা কোনও কর্মসূচি নয়। এই মিছিলে আমাদের কোনও রূপ অংশগ্রহণ নেই।"
আর জি কর-কাণ্ডে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগ চেয়ে আজ, মঙ্গলবার নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছে 'পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজ' নামে সংগঠন। যারা নিজেদের অরাজনৈতিক বলে দাবি করছে। কিন্তু, এই অরাজনৈতিক-কর্মসূচি ঘিরেই বঙ্গ রাজনীতিতে ক্রমশ চড়ছে রাজনীতির পারদ। তৃণমূলের অভিযোগ, মঙ্গলবারের নবান্ন অভিযানের কর্মসূচিতে, গুলি চালানো, এমনকী, খুনেরও ষড়যন্ত্র রয়েছে।
এদিন দুপুর দুটো নাগাদ নবান্নের সামনে জমায়েত করার ডাক দেওয়া হয়েছে। তার কয়েক ঘণ্টা আগে থেকেই মূলত দুটি রুট দিয়ে নবান্নের দিকে এগোতে শুরু করবেন আন্দোলনকারীরা। কলেজ স্কোয়ার থেকে ইডেন গার্ডেন্স, হেস্টিংস হয়ে নবান্নের দিকে যাবে একটি মিছিল। অপর মিছিলটি হাওড়ার সাঁতরাগাছি থেকে কোনা এক্সপ্রেসওয়ে ধরে নবান্নর দিকে এগোবে।
এদিকে নবান্ন অভিযান রুখতে কড়া ব্যবস্থা নিচ্ছে প্রশাসন। নিরাপত্তা ব্যবস্থার ব্লু প্রিন্ট তৈরি করতে সোমবার হাওড়ার শরৎ সদনে রাজ্য পুলিশের আইজি, ডিআইজি, হাওড়ার সিপি ও পুলিশ সুপার-সহ উচ্চ পদস্থ আধিকারিকরা বৈঠক করেন। সূত্রের খবর, হাওড়া ময়দান, ফোরশোর রোড ,মন্দিরতলা-সহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় বসছে ব্যারিকেড। লাগানো হচ্ছে অতিরিক্ত সিসি ক্যামেরা। চারজন আইজি র্যাঙ্কের পুলিশ অফিসার ছাড়াও থাকছেন ডিআইজি এবং এসপি পদমর্যাদার পুলিশ আধিকারিকরা। রাস্তায় নামবেন ২১০০ পুলিশ কর্মী।
হাওড়া ছাড়াও কলকাতা-সহ অন্যান্য কমিশনারেট থেকেও আনা হচ্ছে ফোর্স। থাকছে জল কামান এবং ড্রোনের ব্যবস্থা। খতিয়ে দেখা হচ্ছে হাওড়া স্টেশন, নবান্ন, সাঁতরাগাছির আশপাশের হোটেলগুলির রেজিস্টার।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।