কলকাতা: রণক্ষেত্র আর জি কর মেডিক্যাল (RG Kar Medical College)। ডাক্তারি পড়ুয়াদের দুটি সংগঠনের মধ্যে সংঘর্ষ। আহত কমপক্ষে ৭-৮ জন ডাক্তারি পড়ুয়া। আজ ছিল এমবিবিএস-এর (MBBS) ফাইনাল ইয়ারের পরীক্ষা। পরীক্ষা শেষে টিএমসিপি-র (TMCP) সমর্থকদের উপর হামলার অভিযোগ ওঠে। হামলার অভিযোগ আরজি কর স্টুডেন্টস ইউনিটির সদস্যদের বিরুদ্ধে। গত ২ দিন ধরে তাঁদের উপর হামলা চালিয়েছে টিএমসিপি, জবাব চাইতে গিয়েছিলেন, হামলা করেননি বলে দাবি স্টুডেন্টস ইউনিটির সদস্যদের। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে বিশাল পুলিশ বাহিনী। সিসিটিভি ফুটেজ (CCTV Footage) পরীক্ষা করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা, জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। 


সম্প্রতি  রোগী-সহায়কদের বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে ওঠে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল প্রাঙ্গন। করোনার (Corona Pandemic) প্রকোপ কেড়ে নিয়েছিল অনেকের জীবন (Life)-জীবিকা (Lifelyhood)। করোনার প্রভাব ফিকে হওয়ার পরও এবার কোপ পড়ে চাকরিতে। করোনাকালে নিয়োগ হওয়া চুক্তিভিত্তিক অস্থায়ী কর্মীদের ছেঁটে ফেলার সিদ্ধান্ত নেয় রাজ্য সরকার (West Bengal Government)। আর যে সিদ্ধান্ত বাস্তবায়িত হওয়ার পরই তীব্র বিক্ষোভে উত্তাল কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ (Calcutta Medical College)। কোভিড ওয়ার্ডে (Covid Ward) নিয়োগ হওয়া অস্থায়ী কর্মীদের (Temporary Employees) কাজে আসতে বারণ করে দেয় কর্তৃপক্ষ। আর যার পরই রোগী-সহায়কদের বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে ওঠে হাসপাতাল প্রাঙ্গন।


অন্যদিকে হিন্দু হস্টেলের পর এবার সল্টলেকে গার্লস হস্টেলের গেট ভেঙে দখল নিল প্রেসিডেন্সির পড়ুয়ারা। এ দিন বিকেলে সল্টলেকে হস্টেলের সামনে স্লোগান দিতে থাকেন পড়ুয়ারা। এরপর মূল গেট ভেঙে একদল পড়ুয়া ভেতরে ঢোকেন। অভিযোগ, সরকারের নির্দেশের পরেও বন্ধ রয়েছে হস্টেল। এদিন হস্টেলে ঢুকে নিজেদের ঘরের চাবি হাতে তুলে নেন আন্দোলনকারী পড়ুয়ারা। এর আগে গত সপ্তাহে প্রেসিডেন্সির হিন্দু হস্টেলের দখল নেন পড়ুয়ারা। 


ক্লাস শুরু হলেও, ১ মাস ধরে বন্ধ প্রেসিডেন্সির (Presidency University) হিন্দু হস্টেল (Hindu Hostel)ও সল্টেলেকের গার্লস হস্টেল। দুই হস্টেল খোলার জন্য আন্দোলন করছিলেন পড়ুয়ারা। কিন্তু সেই আন্দোলনে কর্তৃপক্ষ সাড়া দেয়নি। দরজা ভেঙে হস্টেলের দখল নিল পড়ুয়ারা। এক ছাত্রী অভিযোগ, "কর্তৃপক্ষ কোনও দায়িত্ববোধ দেখাচ্ছে। আমরা কীভাবে থাকব তা নিয়ে কিছু বলছে না। আমরা অফলাইন ক্লাস করছি। তারপর কোথায় ফিরব জানি না। মাথার উপরে ছাদ নেই। বহু দূর থেকে ছাত্রছাত্রীরা এসেছে পড়তে। তাঁদের মধ্যে কেউ প্রথমবার কলকাতায় এসেছে। হস্টেল ছাড়া তাঁদের কোথাও থাকার জায়গা নেই। তাঁরা ক্লাস করতে পারবেন না। পড়াশোনাও হবে না। কর্তৃপক্ষ কিছু জানাচ্ছে না।''