প্রকাশ সিনহা, কলকাতা: আরজি কর দুর্নীতির মামলায় নতুন মোড়। আর জি কর মেডিক্যালের দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরব হওয়া আখতার আলিকেই অভিযুক্ত দেখিয়ে এবার সিবিআইয়ের চার্জশিট। এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই কী প্রতিক্রিয়া আখতার আলির ?

Continues below advertisement

আরও পড়ুন, গ্রুপ C, গ্রুপ D পদে নিয়োগের আবেদনপত্রের সময় বাড়াল কমিশন

Continues below advertisement

এদিন সিবিআই আধিকারিকরা আলিপুর কোর্টে,  সিবিআই এর স্পেশাল কোর্টে পৌঁছে যান।  এবং তাঁরা একটা সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট জমা দেন। সিবিআই সূত্রে খবর, সেই চার্জশিটে নাম রয়েছে আখতার আলির। এবং অপর একজন শশীকান্ত চন্দকের নাম রয়েছে। সিবিআই এর সরাসরি অভিযোগ, আখতার আলি, শশীকান্ত চন্দক, যিনি প্রাইভেট পার্সন,  তাঁর সঙ্গে যুক্ত হয়ে, একসঙ্গে যোগসাজশ করে, তিনি দুর্নীতিতে যুক্ত রয়েছেন। অর্থাৎ যে ব্যাক্তি আরজিকর দুর্নীতির মামলার তদন্ত শুরু হওয়ার আগে থেকে,  বারবার আখতার আলির নাম সামনে আসে। যিনি কোর্টে গিয়ে সরব হয়েছিলেন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে,  বারবার প্রকাশ্যে এসে তিনি অভিযোগ তুলেছিলেন। আজ সেই আখতার আলিকেই অভিযুক্ত হিসেবে দেখিয়ে, চার্জশিট জমা পড়ল। 

অপরদিকে সিবিআইয়ের চার্জশিটের নাম ওঠার পর,  আখতার আলির প্রতিক্রিয়া, 'চার্জশিটের কপি আমি এখনও পাইনি।  আমি আমার অ্যাডভোটেকেটের সঙ্গে কথা বলছি। এবং আমাকে দেখতে হবে, আমার বিরুদ্ধে কী কী চার্জশিট দিয়েছে ? আমি আমার অ্যাডভোকেটের সঙ্গে কথা বলব, তরুণজ্যোতি তিওয়ারি উনি ব্যাপারটা দেখবেন।..দরকার হলে আমি কোর্টে মুভ করব। তারপরে আমি কিছু বলতে পারব। ..দেখুন এটা তো মিথ্যে অভিযোগ। মাঝখানে কোতা থেকে কী হয়েছে, সেটা আমাকে দেখতে হবে, আমাকে একটু সময় দিন।  দেখে তারপরে জানাচ্ছি। '  

প্রসঙ্গত, দুর্নীতির অভিযোগ তোলা আখতার আলিকেই সম্প্রতি দুর্নীতির অভিযোগে সাসপেন্ড করা হয়েছিল। তাঁর বিরুদ্ধে সরঞ্জাম পাইয়ে দেওয়ার বদলে টাকা নেওয়ার অভিযোগ ওঠে। ইস্তফা গ্রহণ না করে আখতার আলিকে সাসপেন্ড করে স্বাস্থ্য দফতর। আর জি কর মেডিক্যালে ডেপুটি সুপার থাকাকালীন দুর্নীতির অভিযোগ তোলেন আখতার। তাঁর অভিযোগের প্রেক্ষিতেই সন্দীপ ঘোষ গ্রেফতার হন। বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পরে চাকরি ছাড়ার জন্য পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছিলেন। কিন্তু, সেই ইস্তফাপত্র গ্রহণ না করে তাঁকেই সাসপেন্ড করা হয়। আখতার আলিকে সাসপেন্ড করে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর জানিয়েছিল, 'আখতার আলির অভিযোগেই মিলেছে দুর্নীতিতে জড়িত থাকার প্রমাণ।' তাঁর বিরুদ্ধে বরাত পাইয়ে দিতে টাকা, পরিবারের জন্য বিমানের টিকিট নেওয়ার অভিযোগ ওঠে। আরও অভিযোগ, দু'টি সংস্থা থেকে একাধিকবার বিমানের টিকিট কাটিয়েছেন আখতার আলি। একটি সংস্থা থেকে স্ত্রীর অ্যাকাউন্টে ৫০ হাজার টাকা নিয়েছেন। চতুর্থ আরেকটি সংস্থা থেকে ২ লক্ষ ৩৯ হাজার টাকা নেওয়ার অভিযোগ ওঠে। ৪ কোটি ১৪ লক্ষের বরাত পাইয়ে দিতে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ তোলা হয়।