সন্দীপ সরকার, কলকাতা : গত কয়েকমাস ধরে শিরোনামে আরজি কর মেডিক্যাল । আবারও তুমুল উত্তেজনা শহরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সরকারি হাসপাতালে। সকাল থেকে বন্ধ মর্গ। ময়নাতদন্ত শুরুই হয়নি মৃতদেহগুলির। মর্গের সামনে অপেক্ষায় মৃতের আত্মীয় স্বজনরা। সকাল থেকে এসেও মেলেনি দেহ। মিলবেই বা কী করে ? ময়নাতদন্তই তো হয়নি। কেন এমন পরিস্থিতি ?
বৃহস্পতিবার রাতেই আরজি কর মেডিক্যালে তুমুল উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। মর্গের মধ্যেই মারপিট লেগে যায় তিন ডোমের ! মারামারি এমন পর্যায়ে গিয়ে পৌঁছায় চুরমার হয়ে যায় ডিপার্টমেন্টের কম্পিউটার । তৈরি হয় চরম বিশৃঙ্খলা। হাসপাতাল সূত্রে খবর, তিন ডোমই ছিলেন মত্ত অবস্থায়। ঠিক কী বিষয় নিয়ে হাতাহাতি , তা সঠিক জানা যায়নি। তবে এদের কেউই হুঁশে ছিলেন না বলেই জানা গিয়েছে। তাই এর জেরে বিভাগে জিনিসপত্র ভেঙেচুরে যায়।
টালা থানায় অভিযোগ দায়ের করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। ঠিক নিয়ে অশান্তি, কী কী ক্ষতি, সবকিছু খতিয়ে দেখছে পুলিশ । হাসপাতালে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। বন্ধ রয়েছে ময়নাতদন্তের কাজ। ফলে চূড়ান্ত হয়রানির শিকার হচ্ছেন অপেক্ষারত মৃতের বাড়ির লোকজন। কখন আবার পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে, তারই অপেক্ষায় তারা। হয়ত অপেক্ষা করতে হবে পরের দিন পর্যন্তই।
আরজি করে মেডিক্যালে গত ৮ অগাস্ট তরুণী চিকিৎসকের ভয়ঙ্কর মৃত্যুর পর হাসপাতালের অনেক কীর্তিকলাপ সামনে আসে। বিস্ফোরক অভিযোগ করেন হাসপাতালের ফরেন্সিক বিভাগের প্রাক্তন হেড ক্লার্ক। তিনি দাবি করেছিলেন, আর জি করে মরদেহ নিয়ে দালালচক্র চলত রীতিমতো। প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের নির্দেশেই চলত মর্গে দালালচক্র । মর্গের কর্মীদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে বিরাট আর্থিক বেনিয়ম চালাতেন সন্দীপ ঘোষ ! অভিযোগ, 'ময়নাতদন্ত থেকে দেহ বাড়ি পৌঁছে দেওয়া, পুরোটাই চলত প্যাকেজ সিস্টেমে। দেহ প্রতি ঠিক করা ছিল অন্তত ১০ হাজার টাকার প্যাকেজ। দেহ ময়নাতদন্তের পর স্টিচ করতেও দিতে হত মোটা টাকা। টাকা না দিলে মৃতের আত্মীয়দের বলা হত স্টিচ করে নিতে। মর্গে দেহ রাখতেও নেওয়া হত হাজার হাজার টাকা' এমনই সব বিস্ফোরক অভিযোগ করেছিলেন ফরেন্সিক বিভাগের প্রাক্তন হেড ক্লার্ক।
এছাড়াও আর জি করের মর্গ নিয়ে হালফিলে মারাত্মক সব অভিযোগ সামনে এসেছে। এবার সেখানেই ডোমেদের মারপিটে ভাঙল কম্পিউটার !
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।