বিজেন্দ্র সিংহ , নয়াদিল্লি  : আবার ধাক্কা রাজ্যের। হাইকোর্টের পর সুপ্রিম কোর্টেও। সায়ন লাহিড়ির মুক্তির বিরোধিতা করে সুপ্রিম কোর্টে মুখ পুড়ল রাজ্যের। রাজ্যের আবেদনই খারিজ করে দিল সর্বোচ্চ আদালত। বহাল রইল হাইকোর্টের নির্দেশ। 


হাইকোর্টের নির্দেশে শনিবার মুক্তি পান পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজের আহ্বায়ক সায়ন লাহিড়ি। সেই নির্দেশের বিরোধিতা করে সুপ্রিম কোর্টে যায় রাজ্য। কিন্তু সেখানেও ধাক্কা খেল রাজ্য । 


কেন গ্রেফতার


গত ২৭ অগাস্ট পশ্চিমবঙ্গ 'ছাত্র সমাজে'র ডাকা নবান্ন অভিযানে তুলকালাম বাধে। রাতে এবিপি আনন্দর স্টুডিও থেকে বেরোতেই গ্রেফতার করা হয় সংগঠনের আহ্বায়ক সায়ন লাহিড়িকে। ময়দান থানার মামলায় ১৪ দিনের পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন সায়ন। গতকাল তাঁকে মুক্তির নির্দেশ দেন হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিন্হা। এই মামলায় হাইকোর্টে একাধিক প্রশ্নবাণে বিদ্ধ হয় রাজ্য় সরকার। আদালতের নির্দেশে তাঁকে মুক্তি দেওয়া হয় শনিবার। আর তারপরই তিনি সোজা আসেন এবিপি আনন্দ-র স্টুডিওতে। 


হাইকোর্টে সওয়াল জবাব


হাইকোর্টে রাজ্য সরকারের আইনজীবী সওয়াল করতে গিয়ে বলেন,  সায়ন লাহিড়ির বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ আছে। প্রথমত, সায়ন লাহিড়ি পুলিশের অনুমতি নেননি। দ্বিতীয়ত, সায়ন স্ট্র্যান্ড রোডের ওপর একটি মিছিলের নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন। সেই মিছিল যখন বাবুঘাটে পৌঁছয় তখন তারা আক্রমণাত্বক হয়ে ওঠে, পুলিশের বাইক জ্বালিয়ে দেয়, গাড়ি ভেঙে দেয়, RPF-এর আধিকারিকদের হেনস্তা করে। তখন, রাজ্য সরকারের তরফে অ্যাডভোকেট জেনারেল যোগ করেন, 'সায়ন লাহিড়ি নিজেই বলেছেন যে, তিনি এই অভিযানের নেতা এবং আয়োজক। ফলে, তিনি যদি বাড়িতে বসেও নেতৃত্ব দেন এবং একটি ইটও যদি তিনি না ছোড়েন, তাহলেও কিছু ঘটলে, তার দায় তাঁকে নিতেই হবে।'  


এই যুক্তি হাইকোর্টে ধোপে টেকেনি। বরং বিচারপতি অমৃতা সিনহা বলেন, এখনও পর্যন্ত আমার সায়ন লাহিড়িকে এতটা প্রভাবশালী মনে হচ্ছে না যে, তিনি একডাকে এত লোক জোগাড় করতে পারেন। বিচারপতি সিনহা জানতে চান, মনে করুন কেউ শান্তিপূর্ণ মিছিলের ডাক দিল, মাঝপথ থেকে কেউ সেই কর্মসূচি হাইজ্যাক করে নিল আর তার জন্য আয়োজকদের গ্রেফতার করা যায়? 


অবশেষে হাইকোর্টের নির্দেশে ছাড়া পেয়ে যান সায়ন । 


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে। 


আরও পড়ুন: সন্দীপের বিরুদ্ধে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে এগিয়েছিলেন তিনিই, তদন্তে প্রথম আখতারকেই ডাকল ED