কলকাতা: কখনও সমস্বরে সকলে গেয়ে উঠছেন 'বেলা চাও'.. কখনও আবার 'সাড্ডা হক.. এথে রাখ'.. গানে, সুরে, প্রতিবাদে মধ্যরাতের ধর্মতলা মুখরিত। আরজি কর হাসপাতালে মহিলা চিকিৎসককে খুন ও ধর্ষণের মামলায় পার হয়ে যাচ্ছে দিনের পর দিন। এখনও দেখা নেই বিচারের। কিন্তু প্রতিবাদ চলছেই। গতকাল ধর্মতলায় প্রতিবাদে জমায়েত হয়েছিলেন সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে তারকারা। আর সেই মিছিল-জমায়েত থেকেই দৃঢ় কন্ঠে প্রতিবাদ জানালেন সোহিনী সরকার, স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়. উষসী চক্রবর্তী, দেবলীনা দত্ত ও অন্যান্যরা। 


এদিন এবিপি আনন্দকে সোহিনী সরকার বলেন, 'নাগরিকরা সারারাত রাস্তায় কাটাতে পারে, কিন্তু প্রশাসনের তরফ থেকে আমাদের একটা দাবির উত্তর দেওয়ারও প্রয়োজন মনে করল না। তাহলে বলতে হবে, ওনাদের কিছু যায় আসে না। যে দাবি নিয়ে মানুষ রাস্তায় নেমেছেন, সেই সমস্ত উত্তর দেওয়ার প্রয়োজন নেই সরকারের। এরপরে ভাবতে হবে কী করব। সাধারণ মানুষেরা আজও এক দাঁড়িয়েছেন। আন্দোলন চলছে। যতদিন সাধারণ মানুষ রাস্তায় থাকবে, আন্দোলন চলবে। সাধারণ মানুষকে জবাব দিতে তাঁরা বাধ্য। সরকার তো আমাদের দরজার ভোটটা চাইতে আসে.. এখন তাঁরা মুখ লুকিয়ে রয়েছে। দেখা যাবে তাঁরা কতদিন মুখ লুকিয়ে থাকতে পারেন.. '


এর আগের একটি সমাবেশে সোহিনী বলেছিলেন, 'আজকে তিলোত্তমার মৃত্যু আমাদের চোখে আঙুল দিয়ে সবটা দেখিয়ে দিয়ে গেল। নাহলে তো আমরা রিল বানাতাম, পোস্ট করতাম, অভিনয় করতাম, হয়ে যেত। আমাদের তো কাজ শেষ হয়ে গেল। আমরা যারা এখন বসে আছি, যদি পথে না নামি, আমাদেরও তিলোত্তমার মতোই অবস্থা হবে। আমি তো দীর্ঘদিন থেকে আরজি কর আর মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলছি। আমরা যদি আন্দোলনটা থামিয়ে দিই, তাহলে ওরাও কিন্তু ভাল থাকবে না। ওদেরও ফেল করিয়ে দেবে বা বদলি করিয়ে দেবে কোথাও। কিন্তু ভয় লাগছে, পুজো আসছে। আমরা যেন সব ভুলে পুজোর আনন্দে মেতে না উঠি। যতক্ষণ না আমরা বিচার পাচ্ছি, আমরা যেন আন্দোলনটা চালিয়ে যেতে পারি।'


 



আরও পড়ুন: RG Kar Issue: 'এই বাংলাই দেখতে চেয়েছিলাম', প্রতিবাদে মুখর রাজ্য দেখে মন্তব্য মিঠুন চক্রবর্তীর


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।