কলকাতা : আর জি কর-কাণ্ডের বিচার-সহ ১০-দফা দাবিতে শনিবার থেকে ধর্মতলায় অনশন করছেন সাতজন জুনিয়র ডাক্তার। শুক্রবার তাঁদের সঙ্গে যোগ দেন আরও দু'জন জুনিয়র ডাক্তার। তাঁদের পাশে দাঁড়িয়ে প্রতীকী অনশন করছেন সিনিয়র চিকিৎসকরাও। সমর্থনের বার্তা দিতে প্রতিদিন হাজির হচ্ছেন অসংখ্য সাধারণ মানুষ। এবার জুনিয়র ডাক্তারদের পাশে দাঁড়িয়ে সংহতি জানানোর পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী হুঁশিয়ারি-পত্র পাঠাল দিল্লি এইমস ও চণ্ডীগড় পিজিআই-এর রেসিডেন্ট ডক্টর্স অ্যাসোসিয়েশন।


অবিলম্বে জুনিয়র ডাক্তারদের দাবি না মানলে বৃহত্তর আন্দোলনে নামা হবে। জট কাটাতে অবিলম্বে পদক্ষেপ না হলে বৃহত্তর আন্দোলনের পথে তাঁরা যাবেন বলে হুঁশিয়ারি দিল দিল্লি এইমস ও চণ্ডীগড় পিজিআই-এর রেসিডেন্ট ডক্টর্স অ্যাসোসিয়েশন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দিল্লি এইমস ও চণ্ডীগড় পিজিআই-এর চিকিৎসকদের।


চিঠিতে বলা হয়েছে, পশ্চিমবঙ্গে জুনিয়র ডাক্তারদের ঘিরে যে পরিস্থিতি চলছে তাতে আমরা PGIMER- এর রেসিডেন্ট ডক্টর্স অ্যাসোসিয়েশনের তরফে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছি। ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টর্স ফ্রন্টের সদস্যরা অনির্দিষ্টকালের জন্য আমরণ অনশনে বসেছেন । এটি বিষয়টির গুরুত্ব বোঝায় যাতে মনোযোগ দেওয়ার প্রয়োজন আছে। ন্যায়বিচারের জন্য আমাদের যেসব সহকর্মী লড়ছেন, আমরা তাঁদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করছি। তাঁরা আপনার রাজ্যে স্বাস্থ্যকর্মীদের নিরাপদ পরিবেশে কাজের দাবি জানিয়েছেন। এই জুনিয়র ডাক্তারদের ক্রমাগত স্বাস্থ্য অবনতির বিষয়টি গভীর উদ্বেগের বিষয়। আপনার কাছে অনুরোধ, পরিস্থিতির গুরুত্ব অনুধাবন করে গঠনমূলক আলোচনা করুন । তাঁদের দাবি আমরাও খতিয়ে দেখেছি। যা যুক্তিযুক্ত।


চিঠিতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, অনশনরত ডাক্তারদের যদি কোনও ক্ষতি হয় বা যদি তাঁদের দাবিদাওয়া না মানা হয়, তাহলে আমাদের সহকর্মীদের পাশে থেকে সংহতি জানাতে আন্দোলন তীব্রতর করা ছাড়া আমাদের কোনও উপায় থাকবে না।  


১০ দফা দাবি সামনে রেখে শনিবার থেকে ধর্মতলায় আমরণ অনশনে বসেছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। রাজ্য় সরকার তাতে সাড়া না দেওয়ায়, অনশনরত জুনিয়রদের পাশে দাঁড়িয়ে প্রথমে গণ ইস্তফা দেন আর জি কর মেডিক্যাল কলেজের প্রায় ৫০ জন চিকিৎসক-অধ্যাপক। তারপর একে একে শামিল হন অন্যান্য বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজের আরও সিনিয়র চিকিৎসক । যা নিয়ে এদিন রাজ্যের তরফে মতামত জানান আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, 'নিয়োগকর্তার কাছে নিযুক্তের ব্যক্তিগত রেজিগনেশন সার্ভিস রুল অনুসারে না হলে সেটা পদত্যাগপত্র নয়।'