কলকাতা: আরজি কর কাণ্ডে (RG Kar News) তোলপাড় বাংলা। আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের পাশে গোটা রাজ্য। সাধারণ মানুষের পাশাপাশি পথে নেমেছেন একাধিক শিল্পীও। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বারবার বৈঠকের আয়োজন করেও তা ফলপ্রসূ হচ্ছে না। এই আবহে পুজোর মুখে মুক্তির অপেক্ষায় দেবের (Dev) নতুন ছবি 'টেক্কা' (Tekka)। আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের প্রসঙ্গে কী বললেন অভিনেতা?


'মুখোমুখি আলোচনা'ই একমাত্র সমাধান, মন্তব্য দেবের


আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের দাবি ও মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁদের একাধিকবার বৈঠকের আয়োজন প্রসঙ্গে দেবের মন্তব্য, 'আমি মনে করি আন্দোলনটা এখন যে জায়গায় দাঁড়িয়ে, তার একমাত্র সমাধান মুখোমুখি বসে আলোচনা করা। এর বাইরে আমার মনে হয় না কোনও উপায় আছে বলে। সুপ্রিম কোর্টও জুনিয়র ডাক্তারদের কী করা উচিত সেই পরামর্শ দিয়েছেন। আমি এই আন্দোলনকে সাধুবাদ জানাই। ডাক্তাররা যেভাবে যা চাইবেন, সেটা খানিক ভাবনাচিন্তা করে আলোচনার মাধ্যমেই সম্ভব বলে মনে করি। সরকার চেষ্টা করছে, তাদের মতো করে। আমি আশাবাদী। আমরা সকলেই বিচারের জন্য অপেক্ষা করছি। কিন্তু সত্যি কথা বলতে গেলে রাজ্য সরকারের হাতে জাস্টিস নেই। এটা পুরোপুরি সিবিআই, সুপ্রিম কোর্টের হাতে। আমিও মনে স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে পরিকাঠামোগত ও অন্যান্য বিষয়ে সংস্কার দরকার। সেটা সরকার করতে পারে আলোচনার মাধ্যমে। আমি আন্দোলনকারী ডাক্তারদের বলব বাংলার মানুষের এই আন্দোলনের স্থানকে সঠিক রেখে একটা সমাধান হোক।'


আরও পড়ুন: Swastika Mukherjee: 'পরের প্রজন্মের জন্য ভরসার, নিরাপদ স্থান আমাদেরই তৈরি করতে হবে', ইন্ডাস্ট্রিতে নারী সুরক্ষা প্রসঙ্গে স্বস্তিকা


পুজোয় দেবের প্রযোজনা সংস্থা 'দেব এন্টারটেনমেন্ট ভেঞ্চার্স'-এর প্রযোজনায় আসছে নতুন ছবি। অভিনেতা ও প্রযোজক হিসেবে দেবের বক্তব্য, 'উৎসবের জন্ম হয়েছিল মানুষকে একত্রিত করার জন্য। জাতপাত ভুলে সকলের মিলিত হওয়ার জন্য উৎসবের জন্ম। ব্রিটিশদের থেকে স্বাধীনতার লড়াইয়ে উৎসব ছিল প্রতিবাদের অন্যতম ভাষা। উৎসব তো তোমার আমার একার নয়। এটা তো বাংলার প্রত্যেক মানুষের, একাধিক মানুষের রোজগারের জায়গা। পুজোর সময় কত মানুষ উৎসবে মাতেন না, ২৪ ঘণ্টা কাজ করেন, তাঁদের দু'টাকা বেশি রোজগারের সময়। এই আন্দোলনের আবহে আমাকে অজস্র প্রেক্ষাগৃহ থেকে ফোন করে জিজ্ঞেস করা হয়েছে, যে আমি সিনেমা রিলিজ করছি কি না। এক একটা প্রেক্ষাগৃহ ঘিরে গুচ্ছ মানুষ রোজগার করেন, সিনেমা রিলিজ না করলে তাঁদের সকলের কী হবে? আমার কোনও অধিকার নেই তাঁদের রোজগার আমি কেড়ে নেব! আমার লড়াই বাংলার সরকারের সঙ্গে হতে পারে, বাংলার মানুষের সঙ্গে নয়। উৎসবে ফিরছি না বলিনি মানে প্রতিবাদে নেই, তা নয়। দুটোর আলাদা মানে। উৎসবের মানেটা সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে অন্য জায়গায় চলে গিয়েছে। উৎসব কখনও প্রতিবাদকে আটকায় না। বরং সকলকে একত্রিত করে নেওয়ার আহ্বান।'


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।