কলকাতা : ধর্মতলায় অনশনের আজ দ্বাদশী। প্রথম দিন থেকে স্নিগ্ধা হাজরা, অর্ণব মুখোপাধ্যায়, সায়ন্তনী ঘোষ হাজরারা অনশন চালিয়ে যাচ্ছেন। ৬ অক্টোবর থেকে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজেও শুরু হয়েছে অনশন। ধর্মতলা ও উত্তরবঙ্গ মিলিয়ে ৬ জন অনশনকারী হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। গতকাল ধর্মতলায় অনশনে যোগ দেন আরও ২ জন, রুমেলিকা কুমার ও স্পন্দন চৌধুরী। এই মুহূর্তে অনশন করছেন ৮ জন জুনিয়র ডাক্তার। প্রতিদিনই অনশনকারীদের শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা হচ্ছে। সেই সমস্ত রিপোর্ট বলছে, প্রত্যেকেরই শারীরিক অবস্থার অবনতি হচ্ছে। দেখা দিয়েছে নানা সমস্যা। তবে জুনিয়র ডাক্তাররা অনশনে অনড়। রাজ্য সরকার-ডাক্তারদের এই অচলাবস্থা কবে কাটবে ? উত্তর অধরা। এরই মধ্যে অনশনরত জুনিয়র চিকিৎসক স্পন্দন চৌধুরী মন্তব্য করলেন, 'মুখ্যমন্ত্রী যদি আমাদের মৃতদেহের উপর দিয়ে হেঁটে যেতে চান... যাবেন।' Junior Doctors Hunger Strike


তিনি বলেন, 'ন্যায়বিচার পাওয়ার যে লড়াই, সেই লড়াইটাতে সরকারপক্ষ আমাদের কথা শুনছে না। সরকারপক্ষ যথেষ্ট রকম শীথিল। আমাদের প্রতি শীতল মনোভাব নিয়েই এসেছে। না, আমাদের কথা শুনছে। না, আমাদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে চাইছে। যা-ও বা বসছে তাতে বসলেও হচ্ছে সময় নষ্ট করা। তাদের অনড় থাকা। সবথেকে বড় কথা, সুপ্রিম কোর্টে এই যে বলা হচ্ছে যে, ৯০ শতাংশ কাজ হয়ে গিয়েছে। এগুলো সম্পূর্ণ রূপে মিথ্যা কথা। সেইগুলি আমাদের জেলা হাসপাতালগুলি দেখলেই বোঝা যায়। যা হোক, তর্কে যেতে চাই না। কাল এই যে ১ লক্ষের বেশি লোক এলেন এই বিশ্বাসটা নিয়ে যে, এখনও বিচার পাওয়া যায়। যে-ই দেখলেন ১ লক্ষ লোক এসেছেন, এঁদের সবার চোখে জল চলে এসেছিল। প্রত্যেকেই এতটা চাঙা হয়ে গেছেন বলছেন যে, ১০ দিন কেন, আমরা ২৬ দিন অবধি বসতে রাজি আছি। '


আর কতদিন ?


স্পন্দন চৌধুরী বলেন, 'এই প্রশ্নের উত্তর বলতে গেলে, সরকারকে ঘুরিয়ে জিজ্ঞাসা করতে হয়। আমাদের তরফে হাত বাড়িয়ে রেখেছি। ওঁরা যদি হাত না বাড়ান, আমরা কী করব বলুন ! এরপরে বলতে হয়, তাহলে আমাদের এখানে দাঁড়িয়ে মরতে হয়। মুখ্যমন্ত্রী যদি আমাদের মৃতদেহের উপর দিয়ে হেঁটে যেতে চান যাবেন। '


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে