কলকাতা: আর জি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে DYFI-এর মিছিল ঘিরে রণক্ষেত্র দুর্গাপুর। আগুন লাগানো হল সিপিএমের পার্টি অফিসে। ভেঙে দেওয়া হল পরপর বাইক, চলল বোমাবাজিও। সিপিএমের দাবি হামলার নেপথ্য়ে রয়েছে তৃণমূল, যদিও শাসক দলের পাল্টা দাবি DYFI-এর মিছিল থেকেই প্রথমে হামলা হয়েছিল।
DYFI-এর মিছিলে রণক্ষেত্র দুর্গাপুর: আর জি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে সিপিএমের মিছিল ঘিরে ধুন্ধমার কাণ্ড বাধল দুর্গাপুর শহরে। সরকারি হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসকের খুন-ধর্ষণের প্রতিবাদে বুধবার, দুর্গাপুরের গান্ধী মোড় থেকে সিটি সেন্টার বাস স্ট্যান্ড পর্যন্ত মিছিলের ডাক দেয় সিপিএম ও ডিওয়াইএফআই। কর্পোরেশন মোড়ে মিছিল পৌঁছতেই আচমকা শুরু হয় গন্ডগোল। অভিযোগ, তৃণমূলের কর্মীরা হামলা চালায় মিছিলে। একের পর এক বোমা ছোড়া হয়। লাঠি হাতে চলে তাণ্ডব। সিপিএম কর্মীদের মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। হামলা চলে সিপিএমের পার্টি অফিসেও। ছোড়া হয় বোমা, ইট। ভাঙচুর চালানো হয় বাইকে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশের পাশাপাশি নামানো হয় কমব্যাট ফোর্স। আক্রান্ত সিপিএম কর্মী স্বপন মাটার অভিযোগ, "পায়ে লেগেছে। ৭ জন মহিলা আহত। তৃণমূলের ঝান্ডা হাতে নিয়ে হামলা চালানো হয়েছে।'' রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী ও জেলা কমিটির সদস্য বংশগোপাল চৌধুরীর অভিযোগ, "মুখ্যমন্ত্রী ফোঁস করতে বলেছিল। উনিই উস্কানি দিচ্ছেন। পুলিশ মন্ত্রীকে জবাব দিতে হবে।''
মিছিলে হামলার ঘটনায় আটজন আহত হয়েছেন বলে দাবি সিপিএমের। প্রতিবাদে সন্ধেয় দুর্গাপুর শহরে দলের পার্টি অফিসের সামনে বিক্ষোভ দেখান সিপিএম নেতা-কর্মীরা। যদিও তাদের বিরুদ্ধে সিপিএমের অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। দুর্গাপুরের তৃণমূল নেতা পঙ্কজ রায় সরকার বলেন, "আমাদের কর্মীদের উপর আগে হামলা করেছে। কোনও বোমাবাজির ঘটনা ঘটেনি''
এদিকে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসকে আর জি কর মেডিক্যালে নিহত নির্যাতিতাকে উৎসর্গ করলেন তৃণমূল নেত্রী। নিহত ছাত্রীর পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় দ্রুত সুবিচারের দাবি করেন তিনি। ছাত্রছাত্রী ও যুবসমাজকে মনে করালেন সামাজিক ভূমিকার কথা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লেখেন, "তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসকে উৎসর্গ করছি আমাদের সেই বোনকে, যাঁকে আমরা কয়েক দিন আগে আর জি কর হাসপাতালে মর্মান্তিকভাবে হারিয়ে শোকাহত। আর জি কর হাসপাতালে আমাদের সেই বোনকে নির্মমভাবে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছিল। তাঁর পরিবারের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জানিয়ে, দ্রুততম গতিতে সেই ঘটনার সুবিচার চেয়ে, সেইসঙ্গে সারা ভারতে সকল বয়সের যত নারী যেখানে যত অমানুষিক ঘটনার শিকার হয়েছেন, তাঁদের সকলের জন্য আমরা হৃদয়ের অন্তঃস্থল থেকে দুঃখ জ্ঞাপন করি। ছাত্র-ছাত্রীদের বার্তা দিয়ে তৃণমূল নেত্রী লেখেন, ছাত্র-ছাত্রী, যুবক-যুবতীদের একটা বড় সামাজিক ভূমিকা আছে। সমাজ ও সংস্কৃতিকে জাগ্রত রাখার মধ্যে দিয়ে নতুন দিনের স্বপ্ন উপহার দেওয়া এবং চারপাশের সকলকে নতুন দিনের উজ্জ্বল ব্রতে উদ্বুদ্ধ
করাই ছাত্র সমাজের কাজ। আজকের দিনে তাঁদের সকলের প্রতি আমার আবেদন, এই প্রচেষ্টায় উদ্বুদ্ধ হন, ব্রতী থাকুন।''
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।