ঝিলম করঞ্জাই, কলকাতা: কখনও চুঁচুড়ার সরকারি হাসপাতাল থেকে SSKM-এ একসঙ্গে প্রসূতিরা অসুস্থ হয়ে পড়ছেন কিংবা তাদের মৃত্যু হচ্ছে। কখনও NRS-এ ভর্তি ক্যান্সার আক্রান্তদের ক্ষেত্রে, আচমকা অবস্থার অবনতি হচ্ছে। একের পর এক সরকারি হাসপাতালের, এসব ঘটনায় বারবার উঠেছে নিম্নমানের ওষুধ দেওয়ার অভিযোগ। এরফলে বারবার প্রশ্ন উঠছে কোথাও কি সর্ষের মধ্য়েই ভূত রয়েছে? জেনেবুঝে রোগীদের জীবন ঝুঁকির মুখে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে?                                         



মানুষ হাসপাতালে যায় অসুখ সারাতে। কিন্তু সেই হাসপাতালেই যে অসুখ শিকড় গেড়েছে, তা সারাবে কে? আর জি কর মেডিক্যালে ধর্ষণ-খুনের জঘন্য ঘটনা, সরকারি স্বাস্থ্য ব্যবস্থার অনেকগুলো অন্ধকার দিক সামনে এনে দিয়েছে। পর্দা উঠছে একের পর এক অভিযোগের ওপর থেকে। তার মধ্যে একটা হল- দিনের পর দিন সরকারি হাসপাতালে নিম্নমানের ওষুধ সরবরাহ।


জুলাই মাসে হুগলির চুঁচুড়ায়, সরকারি হাসপাতালে সিজারের পর একসঙ্গে অসুস্থ হয়ে পড়েন কয়েকজন প্রসূতি। তার মধ্যে একজনের মৃত্যু হয়। আচমকা প্রসূতিদের অসুস্থ হয়ে পড়ার ঘটনা এই প্রথম নয়। এর আগে SSKM এবং উলুবেড়িয়ার হাসপাতালেও এমন ঘটনা ঘটেছিল বলে অভিযোগ।


কিন্তু, বারবার এরকম ঘটনার কারণ কী? চিকিৎসকদের একাংশের মতে, সরকারি হাসপাতালে যে বিনামূল্যের ওষুধ দেওয়া হয়, তার খারাপ মানের জেরে এমনটা হয়ে থাকতে পারে। NRS মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের প্রাক্তন চিকিৎসক, হেমাটোলজিস্ট প্রান্তর চক্রবর্তীর দাবি, ক্যান্সার আক্রান্তদের ক্ষেত্রে বিনামূল্যের ওষুধ দেওয়া শুরুর পর, ফলাফল খারাপ হতে শুরু করে। তা নিয়ে নথি তৈরি করে NRS-এর তৎকালীন অধ্য়ক্ষকে দেওয়া হয়। সেন্ট্রাল মেডিক্যাল স্টোরে বিষয়টি নিয়ে বিস্তর আলোচনা হয়। ২০১৯ সালের জুলাই মাসে সরকারি চাকরি ছাড়েন প্রান্তর চক্রবর্তী।


আরও পড়ুন, ঘূর্ণাবর্তের দাপটে ফের বৃষ্টি দুর্যোগ বঙ্গে? কতদিন চলবে? কোন কোন জেলায় সতর্কতা?


তাঁর মতে, ওষুধের গুণগত মান খারাপ হওয়ার কারণেই এমনটা হয়ে থাকতে পারে। বারবার ঘটনা ঘটছে। কিনতু, তারপরও কি সরকারি হাসপাতালে এই চক্র চলছে? এর নেপথ্যে কি রয়েছে প্রভাবশালীরা? কারা তারা? 



আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে
https://whatsapp.com/channel/0029VaCBCh6545uwkeNBg11y