কলকাতা : আর জি কর-কাণ্ডে CBI-এর তদন্ত নিয়ে অনাস্থা প্রকাশ করে পথে নামল ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্ট। সিবিআই তদন্তে অসন্তোষ প্রকাশ করে ও স্বচ্ছ নিরপেক্ষ বিচারের দাবিতে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের দ্বারস্থ হলেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। তবে, ধর্মতলার অনশন মঞ্চ থেকে মিছিল করে রাজভবনে পৌঁছলেও রাজ্যপালের সঙ্গে কথা হল না তাঁদের। শুধুমাত্র ডেপুটেশন জমা দিয়েই ফিরতে হল জুনিয়র চিকিৎসকদের।


এপ্রসঙ্গে রাজভবন থেকে বেরিয়ে জুনিয়র ডাক্তারদের তরফে চিকিৎসক দেবাশিস হালদার বললেন, "ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টর্স ফ্রন্টের ১২ জন প্রতিনিধি রাজভবনে গিয়েছিলাম। বেশ কিছুক্ষণ অপেক্ষা করি। তখন জানানো হয়, রাজ্যপাল বিশ্রাম নিচ্ছেন। সেইসময় আমরা বেশ কিছুক্ষণ অপেক্ষা করি। আরও কোনও প্রতিনিধিদল সম্ভবত UNICEF-এর ওঁর সঙ্গে দেখা করতে আসে। তারপর আমাদের মধ্যে থেকেও ৫ জনের প্রতিনিধি ওঁর সঙ্গে দেখা করতে যাই। আমাদের ডেপুটেশন জমা দিই। ডেপুটেশনটুকুই শুধু জমা দেওয়া হয়। খুব কথাবার্তা হয়নি। আমরা ডেপুটেশন জমা দিই। ওঁর যেসব অফিসিয়াল ছিলেন, তাঁদের আমাদের সিবিআই সংক্রান্ত ক্ষোভের কথা ডিটেলসে জানাই। বাকি আমাদের যে ১০ দফা দাবি ..উনি আগের দিনও এসেছিলেন। বলেছিলেন, পদক্ষেপ নিতে পারেন। সেক্ষেত্রে তিনি কী করছেন, সেই প্রশ্নটা রাখি। এটুকুই। এর বাইরে কোনও কথা হয়নি। রাজ্যপাল দেখা করেছেন। ডেপুটেশনটুকু নিয়েছেন। এর বাইরে কোনও কথা হয়নি। কোনও আশ্বাস দেননি। খুব সন্তুষ্ট বলতে পারি না। আলোচনা চেয়েছিলাম। হয়নি। আশা করি, ওঁর থেকে মেসেজ খানিক কনভে হবে।"


এপ্রসঙ্গে জুনিয়র চিকিৎসক কিঞ্জন নন্দ বলেন, "কর্মচারীদের মারফত উনি জানিয়েছেন বিষয়টি দেখবেন। কিন্তু, ওঁর সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে আমাদের কোনও বাক্যালাপ হয়নি। ডেপুটেনশনটা ওঁর হাতে জমা দিয়েছি।" 


ধর্মতলায় জুনিয়র চিকিৎসকদের অনশনের চতুর্থ দিনে তাঁদের ধর্নামঞ্চে যান রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (West Bengal Governor CV Anand Bose)। বুধবার বিকেলে এই কথা জানানো হয় রাজভবন সূত্রে।


মঙ্গলবার আরজি কাণ্ড নিয়ে রাজভবন থেকে একটি ভিডিও বার্তায় নিজের মনোভাবের কথা ব্যক্ত করেন রাজ্যপাল। সেখানে জুনিয়র ডাক্তার থেকে শুরু করে সিনিয়র চিকিৎসকদের গণ ইস্তফার বিষয়টিও উঠে আসে। পাশাপাশি ওই ভিডিও বার্তায় রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস আরজি কাণ্ড নিয়ে তীব্র আক্রমণ রাজ্য সরকারকে। ভিডিও বার্তায় রাজ্যপাল বলেন, ‘‌রাজ্য সরকার পশ্চিমবঙ্গের মানুষকে পরিষেবা দিতে ব্যর্থ। তাই এখন মানুষ নোটিস দিয়েছেন সরকারকে। সেটা কি কেউ দেখতে পাচ্ছেন না?‌ গোটা বিশ্ব দেখতে পাচ্ছে এই নোটিস। গণ ইস্তফা দিয়েছেন ৫০ জন সিনিয়র চিকিৎসক। আরজি কর হাসপাতালের ডাক্তাররা এই গণ ইস্তফা দিয়েছেন পবিত্র দিনে।’‌