সমীরণ পাল, কলকাতা: আজ, ২২ অগাস্ট, বৃহস্পতিবার। সপ্তাহ ২ আগে, এই বৃহস্পতিবারই শেষবার নিজের বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের (RG Kar Medical College And Hospital) তরুণী চিকিৎসক, কিন্তু আর ফেরেননি। যে প্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা করেছেন, যেখানে অসুস্থ প্রাণ সারিয়ে তোলার শপথ নিয়ে নিজেকে নিয়োজিত করেছিলেন, সেখানেই প্রাণ গেল তাঁর, ধর্ষণ করে খুন করা হল তাঁকে। প্রায় দিন ১৫ কেটে গেলেও এখনও 'বিচারের অপেক্ষা'য় রাজ্যবাসী, তোলপাড় গোটা দেশ। আর মৃতা চিকিৎসকের মা-বাবা? শূন্য কোলে, এখন তাঁদের জীবনজুড়ে শুধুই হাহাকার। মেয়ের কথা বলতে গিয়ে বারবার কান্নায় ভেঙে পড়ছেন মা, বাবা। ফের তাঁদের কথায় উঠে এল, তড়িঘড়ি দেহ দাহ করার প্রসঙ্গ। (RG Kar News)


আর জি কর মেডিক্যালে মহিলা চিকিৎসক খুনে 'সঠিক বিচার চাই', রাজ্যপালের কাছে দাবি পরিবারের


আর জি কর মেডিক্যালে মহিলা চিকিৎসক খুনে পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন রাজ্যপাল (Governor)। 'সঠিক বিচার চাই', রাজ্যপালের কাছে দাবি পরিবারের। এদিন এবিপি আনন্দর মুখোমুখি হয়ে নির্যাতিতার বাবা বলেন, 'রাজ্যপাল আশ্বস্ত করে গেলেন, যতটা সম্ভব সহযোগিতা করবেন কথা দিয়ে গেলেন। আমরা বললাম, কে তদন্তের দায়িত্ব নিয়েছেন, কী নিয়েছেন তা তো আমরা জানি না। আমরা সঠিক বিচার চেয়েছি, কিন্তু ফল এখনও পাইনি। সেই শুনে উনি হস্তক্ষেপ করবেন বলে জানিয়েছেন।'


বন্ধ খামে কিছু কথা মুখ্যমন্ত্রীকে জানানোর কথা হয়েছে, কী কথা? নির্যাতিতার বাবা বলেছেন, 'আমার মেয়ের বিচার নিয়েই। আমরা ডিপার্টমেন্টের বিরুদ্ধেই অভিযোগ করেছি বারবার। আর তো কিছু জানিই না। যেখানে মেয়েকে সুরক্ষিত অবস্থায় পাঠিয়েছি, আমরা তো তাদের কাছেই বিচার চাইব। তারা তো এখনও কিছু বলছে না। আজ পর্যন্ত তারা কেউ আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেনি।'


 



আরও পড়ুন: RG Kar Murder Case: 'অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত টিউশন ছিল না, ৩৬ ঘণ্টা ডিউটির পরও রোগী দেখা চলত', কান্না চাপতে পারছেন না RG করের নির্যাতিতার মা


আর তড়িঘড়ি দেহ সৎকারের ব্যাপার লক্ষ্য করেছিলেন বাবা-মা? সপাট জবাব, 'হ্যাঁ। এটা তো একটা চাপ দেখতেই পাচ্ছিলাম। রাস্তায় জ্যাম ছিল বলে আমাদের ড্রাইভার ধীরে ধীরে গাড়ি চালাচ্ছিলেন, পুলিশ সেটা তাড়া দিয়ে ৫০ কিমি বেগে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন।' পিছিয়ে গিয়েছিলেন ওঁরা, 'টালা থানাকে তারপরকে আমরা বলি যে আমরা মরদেহর সঙ্গে যাব, যেখানে আছে তাকে রিটার্ন আনুন', বলছেন নিহত চিকিৎসকের বাবা। তবে সবশেষে তাঁদের একটাই আর্জি, 'বিচার চাই'। আরজি করে মৃত চিকিৎসকের বাবা ও মায়ের বক্তব্য, 'আমাদের জীবনের চাওয়ার আর কিছু নেই। সবই হারিয়ে গিয়েছে জীবন থেকে। দোষীরা শাস্তি পেলে আমাদের ক্ষতে খানিক প্রলেপ হবে, এটুকুই।'


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।