কলকাতা : সোমবার থেকে আংশিক কর্মবিরতি। আংশিক কর্মবিরতি ঘোষণা বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকদের। জরুরি ছাড়া অন্য পরিষেবা বন্ধ থাকবে বলে জানানো হয়েছে। সোমবার সকাল ৬টা থেকে বুধবার সকাল ৬টা পর্যন্ত আংশিক কর্মবিরতি পালন করতে চলেছেন তাঁরা। এতে শামিল হওয়ার জন্য রাজ্যের সব চিকিৎসককে আহ্বান জানানো হয়েছে। প্রতীকী কর্মবিরতিতে কাজ না হলে, বৃহত্তর আন্দোলনে হুংশিয়ারি।  


এক চিকিৎসক বলেন, "কর্মবিরতি কখন থেকে ? সকাল ৬টা ১৬ তারিখ অবধি। কী কী আওতাভুক্ত ? মনে রাখতে হবে, জরুরিকালীন কোনও পরিস্থিতি থাকলে যে ডাক্তারবাবু দেখছেন তিনি যদি মনে করেন জরুরি কোনও ব্যাপার ...আপতকালীন কোনও বিষয় আছে...তাহলে সেটা উইল বি টেকেন কেয়ার অফ। যদি মনে হয়, এটা জরুরি বিষয় নয় এবং পরবর্তীকালে ডাক্তারবাবুর দ্বারস্থ হতে পারেন ...তখন ধর্মঘটের কথা মাথায় রেখে পরবর্তীকালে আসতে বলা হবে। মনে রাখবেন, জরুরি ব্যবস্থা স্ট্রাইকের বাইরে। কিন্তু, এই ৪৮ ঘণ্টা প্রতীকী ধর্মঘট। ওপিডি, আইপিডি, ইনডোর, আউট-পেশেন্ট এদের জরুরি ব্যবস্থা ...যাঁরা আইপিডি আছেন দরকার তাঁদের দেখাশুনো করা হবে। আউটডোর বন্ধ থাকবে। ?"


আর জি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে ও জুনিয়র চিকিৎসকদের আন্দোলনের পাশে থেকে একের পর এক সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকরা গণইস্তফা দিয়েছেন।  এবার পাশে দাঁড়ালেন বেসরকারি হাসপাতালের সঙ্গে যুক্ত চিকিৎসকরা। কলকাতার একের পর এক বেসরকারি হাসপাতালের ডাক্তাররা সম্মিলিত ভাবে আংশিক কর্মবিরতির ঘোষণা করলেন। আগেই এই তালিকায় ছিল অ্যাপোলো, মণিপাল, আরএন টেগোর ও ফর্টিস হাসপাতাল। আর এবার সেই তালিকায় যুক্ত হল সি কে বিড়লা গ্রুপ অফ হসপিটালস, কোঠারি হাসপাতাল ও উডল্যান্ডস হাসপাতাল।


ছড়াচ্ছে প্রতিবাদের আঁচ। আর জি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদে এবং জুনিয়র ডাক্তারদের পাশে দাঁড়িয়ে, আংশিক কর্মবিরতির পথে হেঁটেছে আরও দুই বেসরকারি হাসপাতাল। শুক্রবার থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য় আংশিক কর্মবিরতি চলছে ফর্টিসে। ফর্টিস হাসপাতালের তরফে জানানো হয়েছে, আর জি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদে শুক্রবার থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য় আংশিক কর্মবিরতিতে যাচ্ছে তারা। সোম ও মঙ্গলবার পেনডাউন করা হবে পিয়ারলেস হাসপাতালে।  আগামী বুধবার অবধি নন-ইমারজেন্সি পরিষেবা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মেডিকা হাসপাতালের চিকিৎসকদের একাংশ। এই মর্মে কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়েছেন মেডিকা সুপারস্পেশালিটি হাসপাতালের ১১২ জন চিকিৎসক।  এর আগে আংশিক কর্মবিরতির সিদ্ধান্ত নিয়েছে অ্যাপোলো মাল্টিস্পেশালিটি হাসপাতাল,  মনিপাল হাসপাতাল, আর এন টেগোর হাসপাতালের চিকিৎসকদের একাংশ। 


অন্যদিকে আবার অনশন রত ডাক্তারদের পাশে দাঁড়িয়ে হস্তক্ষেপ চেয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখেছে ফেডারেশন অফ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন। তাদের উল্লেখ, 'ব্রিটিশ শাসনের পর বাংলায় অন্ধকারতম সময়। সমাধান না বেরোলে, অনশনকারীরা মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যাবেন'